শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

‘দেশের জানার দরকার আছে পশ্চিমবাংলায় রাজনীতি কীভাবে চলছে’, কেন একথা বললেন দিলীপ ঘোষ?

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: মে ১৫, ২০২২, ০৪:৩৬ পিএম | আপডেট: মে ৩০, ২০২২, ০৫:০১ এএম

‘দেশের জানার দরকার আছে পশ্চিমবাংলায় রাজনীতি কীভাবে চলছে’, কেন একথা বললেন দিলীপ ঘোষ?
‘দেশের জানার দরকার আছে পশ্চিমবাংলায় রাজনীতি কীভাবে চলছে’, কেন একথা বললেন দিলীপ ঘোষ?

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আগামী বছরই রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। এদিকে, তার আগেই শাসক এবং বিরোধী গোষ্ঠী একের অপরকে দোষারোপ করতে ব্যস্ত। শনিবার হায়দরাবাদে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি অভিযোগ করেন যে, তেলেঙ্গানাকে পশ্চিমবঙ্গ বানিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে।

শনিবার উক্ত অনুষ্ঠানে কে চন্দ্রশেখরকে আক্রমণ করতে গিয়ে বাংলার হিংসা নিয়ে আবারও একবার সরব হন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আগামী বছরের নির্বাচনের আগেই সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে পালাবদলের চ্যালেঞ্জও জানিয়েছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে এদিন মুখ খোলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা বর্তমান সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। 

অমিত শাহের মন্তব্যের রেশ টেনে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘তেলেঙ্গানার অবস্থা বাংলার মত। বাংলায় দিনে-দুপুরে বিজেপি কর্মীদের খুন করা হচ্ছে। অত্যাচার চলছে। তেলেঙ্গানাবাসী নিশ্চই ওই পরিস্থিতি চান না। তাই চন্দ্রশেখর রাওকে রুখতেই হবে। না বলে বড় বিপদ এই রাজ্যের জন্য।’

এখানেই শেষ নয়, এদিন তিনি এ প্রসঙ্গে আরও বলেন যে, ‘আটজন দুজন শিশুকে পুড়িয়ে মারা হয় ঘরের ভেতরে। সেখানে বদনাম হয় না। ১৩ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হচ্ছে। পাড়ায় পাড়ায় এরকম ঘটনা হচ্ছে খুন হচ্ছে তাতে বাংলার বদনাম হয়নি। অমিত শাহ বললে বাংলার বদনাম হয়ে যাবে সারা দেশের জানার দরকার আছে পশ্চিমবাংলায় রাজনীতি কিভাবে চলছে, কিভাবে আইনের ব্যবস্থা আছে গণতন্ত্র কি অবস্থায় আছে।’

তাঁর কথায়, ‘সারা দেশের জানা উচিত তেলেঙ্গানাতেও ইদানিং যেহেতু আমাদের পার্টি শক্তিশালী হয়েছে, হায়দ্রাবাদ কর্পোরেশন নির্বাচনে ভালো রেজাল্ট করেছি তারপর থেকে বিজেপির উপর অত্যাচার শুরু হয়ে গেছে। সঞ্জয় কুমার যিনি ওখানকার প্রেসিডেন্ট আছেন বিজেপির এবং এমপি পার্টি অফিসের গ্রিল কেটে গ্যাস কাটার দিয়ে তাকে ওখান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর অত্যাচার হচ্ছে স্বাভাবিকভাবে এখানকার পরিস্থিতি সঙ্গে তুলনা করেছেন উনি।’