বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

শারীরিক প্রতিবন্ধী ও প্রবীন নাগরিকদের বাড়ি গিয়ে ভোট নেওয়া শুরু শান্তিপুরে

০৯:৫৬ পিএম, অক্টোবর ২২, ২০২১

শারীরিক প্রতিবন্ধী ও প্রবীন নাগরিকদের বাড়ি গিয়ে ভোট নেওয়া শুরু শান্তিপুরে

আগামী ৩০ অক্টোবর উপ নির্বাচন নদীয়ার শান্তিপুরে। তার আগেই আজ থেকে শান্তিপুরে উপনির্বাচনের ব্যালটে ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হল আগামী রবিবার পর্যন্ত তা চলবে। জেলা নির্বাচন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লক্ষ ৫৪ হাজার। তারমধ্যে শারীরিক প্রতিবন্ধী ও যে সকল প্রবীণ নাগরিকরা ভোটগ্রহণ কেন্দ্র গিয়ে ভোট দিতে পারবেন না তাঁদের জন্য বাড়িতে বসেই ব্যালটে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

কমিশন সূত্রে খবর, এই ধরনের ভোটারদের মূলত দু'ই ভাগে ভাগ করেছে। প্রবীণ বাসিন্দা ও প্রতিবন্ধী ভোটাররা মূলত নিজেদের বুথে ১২ডি ফর্মে আগেই আবেদন করেছিলেন। জেলা নির্বাচন আধিকারিক গোবিন্দ হালদার বলেন, কমিশনের সমস্ত নিয়ম মেনে এই ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। শান্তিপুর বিধানসভার অধীনে থাকা পুরসভার ২৪টি ওয়ার্ড ও ছ'টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এবার ১২৮৩ জন বয়স্ক ও ৩৪৩ জন প্রতিবন্ধী ভোটার রয়েছেন।

এদিন সকাল থেকে কমিশনের ২২টি টিম বিধানসভার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ব্যালটে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করেন। প্রতিটি টিমে ছিলেন একজন করে প্রথম পোলিং দ্বিতীয় পোলিংও মাইক্রো অবজার্ভর। এছাড়া সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটির ভিডিওগ্রাফি করা হয়। পাশাপাশি ওই টিমে ছিলেন, বুথ লেভেল অফিসাররাও। ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় কোনওভাবেই যাতে অপ্রতীকার পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সেজন্য কমিশনের টিমের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও ছিলেন।

এছাড়া করোনা আক্রান্ত বা সাসপেক্ট ভোটারদের জন্য এই সুবিধা রেখেছে কমিশন। যে কারণে এবছর ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় কোভিড নোডাল অফিসারদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকছে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন অনেকেই আছে যাঁরা করোনা পজিটিভ না হয়েও ওই ফর্মে আবেদনের ভিত্তিতে বাড়িতে বসে ভোট দিতে চাইবেন। সেক্ষেত্রে আবেদনকারীর সত্যিই করোনা হয়েছেন কি না তা যাচাইয়ের কাজ করবেন ওই নোডাল অফিসার।

এদিন শান্তিপুরের বেলঘড়িয়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিহারীপাড়া এলাকায় দৃষ্টিহীন এক ভোটারের বাড়িতে ব্যালটে ভোটগ্রহণ করতে হাজির হোন কমিশনের আধিকারিকরা। তাঁদের উপস্থিতিতে ওই ভোটারের ছেলে সুরঞ্জন বিশ্বাস বাবার হয়ে ভোটদান করেন। তিনি বলেন, বাবার নির্দেশমতোই তিনি যে প্রার্থীকে ভোট দিতে বলেছেন আমি  তা দিয়েছি। প্রশাসনের আধিকারিকরা সরাসরি বাড়িতে এসে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট নেওয়ায় অনেকটাই সুবিধা হয়েছে।