শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

২০২৪-এর লোকসভা ভোটেও জিতবেন নরেন্দ্র মোদী! দাবী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের

০৫:২৪ পিএম, অক্টোবর ১০, ২০২১

২০২৪-এর লোকসভা ভোটেও জিতবেন নরেন্দ্র মোদী! দাবী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সম্প্রতি ভারতীয় রাজনীতিতে সাংবিধানিক পদে ২০ বছর পূর্ণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদী দীর্ঘ ২০ বছরের এই সাংবিধানিক পদে থাকা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মোদীর ঢালাও প্রশংসা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

অমিত শাহ দাবী করেছেন, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জয় নিয়ে তিনি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। তিনি জানিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় থাকার জন্য নয়, দেশ বদলাতে এসেছেন। তাঁর নেতৃত্বে বিজেপি জয়ের ধারা অব্যাহত। তাঁর দর্শানো পথেই দেশের সঙ্গে সঙ্গে সংগঠনের ভিতও মজবুত হয়েছে। এখানেই থেমে যাননি অমিত শাহ। তিনি আরও বলেন যে, ‘যেভাবে একটা গণতান্ত্রিক দেশে বারবার নেতা হিসেবে মানুষ তাঁকে নির্বাচন করছেন, তা একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে বিরল কৃতিত্ব। ২০০১ সালে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি শপথ নেন। তারপর ২০১৪ এবং ২০১৯-এ তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তার নেতৃত্বে যেভাবে এগোচ্ছে দেশ। উনি ২০২৪ সালে জিতবেন তা নিয়ে আমি নিশ্চিত।’

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, প্রতিবার দেশকে বিপদ থেকে, দুর্দশা থেকে উদ্ধার করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কথায়, ‘নরেন্দ্র ভাই যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হন তখন সবার সরকারের উপর থেকে বিশ্বাস উঠে গিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে কোনও প্রশাসন চালানোর অভিজ্ঞতাই ছিল না ওঁর। কোনওদিন সহ-পঞ্চ পর্যন্ত হননি। সেখানে গুজরাটের রূপ বদলে দেন উনি। ভূমিকম্পের পর ভুজের ভয়ঙ্কর অবস্থা বদলে গিয়েছে তাঁরই সরকারের আমলে। আগে ভুজে পোস্টিংকে সাজা বলে মনে করা হত। এখন দিন বদলেছে।’

এর পাশাপাশি তিনি ভারতীয় সেনার কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন যে, ‘কেউ কল্পনা করতে পারেনি ভারত এয়ার স্ট্রাইক, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করবে। এগুলো শুধু এতদিন আমেরিকার জন্য ছিল। মোদীর নেতৃত্বেও তাও করে দেখিয়েছে দেশ। আজ ভারত অর্থনৈতিকভাবে বিশ্বের ৫-৬ নম্বর সমৃদ্ধ দেশ। আগামী দিনে আরও এগিয়ে যাব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ধৈর্যর সঙ্গে কাজ করেন, আর এই কারণেই ভারত এখন আবারও সফলতার শিখরে পৌঁছে যাচ্ছে।’

অমিত শাহের মতে, ‘মোদীজি সবার আগে দেশের কথা ভাবেন। গত ২০ বছরে আমি ওঁকে একটা ছুটিও নিতে দেখিনি। কাজ করতে করতে উনি সবসময় একটাই প্রশ্ন করেন কী বাকি আছে। জনগণের সমস্যাকে উনি নিজের সমস্যা বলেই মনে করেন।’