বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সাজ প্রায় শেষ! এবার কি বাংলার হাসিমারাই হবে রাফালের ‘সেকেন্ড হোম’?

১০:১৯ পিএম, মার্চ ১২, ২০২১

সাজ প্রায় শেষ! এবার কি বাংলার হাসিমারাই হবে রাফালের ‘সেকেন্ড হোম’?

বংনিউজ২৪x৭ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রস্তুতি প্রায় শেষের পথে, নতুন রূপে সেজে উঠেছে বাংলার হাসিমারা। কেন? আর মাত্র হাতে গোনা কয়েক মাসের অপেক্ষা। তারপরেই সারি দিয়ে যুদ্ধাস্ত্রে সেজে উঠবে এই হাসিমারা। ভারত-ভূটান ট্রাইজংশন-এর কাছাকাছি অবস্থিত এই হাসিমারাই হবে রাফালের সেকেন্ড হোম। তেমনটাই জানাচ্ছে সরকারি সূত্রের খবর।

উল্লেখ্য, ফ্রান্স থেকে আসার পর, হরিয়ানার আম্বালাই ছিল রাফালের ঠিকানা। তবে এবার রাফালের দ্বিতীয় ঠিকানা হতে চলেছে বাংলার হাসিমারা। রাফালের দ্বিতীয় স্কোয়াড্রন হাসিমারা শোভাবর্ধন করবে। ভারতীয় বায়ুসেনার আধিকারিকদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, চলতি বছরের এপ্রিল মাসের ভেতরেই সবদিক থেকে সেজে উঠবে উত্তরবঙ্গের এয়ারবেস হাসিমারা। সেই কারণেই এখন চূড়ান্ত পর্বের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে।

২০১৬ সালে ৫৯ হাজার কোটি টাকায় ফ্রান্সের সঙ্গে ৩৬ টি রাফালে কেনার চুক্তি করেছিল ভারত সরকার। গত বছর জুলাই মাসে, ভারত এবং ফ্রান্সের চুক্তি অনুসারে প্রথম দফায় ৫ টি রাফালে ভারতে এসেছিল। ধুমধাম করে সেই ৫ টি রাফালেকে স্বাগত জানিয়েছিল দেশ। সাতজন ভারতীয় পাইলট ২৯ জুলাই সাত হাজার কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে দেশে নিয়ে এসেছিল রাফালে যুদ্ধবিমান। এর পর নভেম্বর ও জানুয়ারি মাসে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় ফের রাফালে আসে দেশে। এখনও পর্যন্ত ১১ টি শক্তিশালী এবং অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান রাফালে ভারতের মাটি ছুঁয়েছে। এই মুহূর্তে সেগুলি আম্বালার এয়ারবেসে রয়েছে।

উল্লেখ্য, রাফালে বিমানগুলি প্রচুর পরিমাণে শক্তিশালী অস্ত্র বহন করতে সক্ষম। ইউরোপীয় ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাতা এমবিডিএর মেটিওর ভিজ্যুয়াল রেঞ্জের বাইরে এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল, স্কাল্প ক্রুজ মিসাইল এবং এমআইসিএ অস্ত্র ব্যবস্থা রাফালে জেটসের অস্ত্র প্যাকেজের মূল ভিত্তি। অন্যদিকে রাশিয়া থেকে সুখোই বিমানগুলি আমদানির ২৩ বছর পরে, ভারতের প্রথম বৃহত্তম যুদ্ধবিমান হিসেবে এই রাফালে যুদ্ধবিমান পেল ভারত।

২০২২ সালের এপ্রিলের মধ্যে বাকি রাফালে যুদ্ধবিমান ভারতে এসে পৌঁছাবে বলেই খবর। সেই ইঙ্গিত আগেই দিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তাছাড়া চলতি মাসে আরও ছটি রাফালে ভারতে আসবে বলেও লোকসভায় জানিয়েছিলেন রাজনাথ সিং। অর্থাৎ সেগুলি এসে পৌঁছালে, ভারতের হাতে সীমান্তে চিন এবং পাকিস্তানের উদ্ধত এবং চোখ রাঙানি বন্ধ করতে ভারতের হাতে মোট ১৭টি রাফাল থাকবে। আপাতত আম্বালায় ১৭ গোল্ডেন অ্যারো স্কোয়াড্রন আপাতত ১১টি রাফাল রয়েছে।

এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে, ভারতীয় বায়ু সেনার অন্যতম সেরা অস্ত্র রাফালে শত্রু দেশের চিন্তার বড় কারণ। বাছাই করা পাইলটদের ফ্রান্সে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠিয়েছে ভারতীয় বায়ু সেনা আধিকারিকদের পক্ষ থেকে। কারণ ফ্রান্সই এই অত্যাধুনিক বিমানের আবিষ্কর্তা। সেই জন্যই এই যুদ্ধবিমানের আবিষ্কর্তা দেশেই পাইলটদের সেরা প্রশিক্ষণ সম্ভব বলেই মনে করছেন বায়ু সেনা আধিকারিকরা।