বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

পেগাসাস নিয়ে সংসদে বিরোধীদের কণ্ঠরোধের অভিযোগ! বাইরেই এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে সরব রাহুলরা

০৪:৩৫ পিএম, জুলাই ২৮, ২০২১

পেগাসাস নিয়ে সংসদে বিরোধীদের কণ্ঠরোধের অভিযোগ! বাইরেই এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে সরব রাহুলরা

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ পেগাসাস নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত। সংসদের বাদল অধিবেশন উত্তাল এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে। বিরোধীদের পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ করা হচ্ছে যে, সংসদে এই বিষয়ে আলোচনাই করতে দিচ্ছে না কেন্দ্র সরকার। বারবার তাঁদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। তাই এবার এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে সংসদের বাইরেই আওয়াজ তুললেন বিরোধীরা। এদিন অধিবেশন শুরু আগে অন্যান্য বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে আলোচনায় বসেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। এই বিষয়ে সংসদের বাইরে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি।

গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে, এই মর্মেই সরকার বিরোধিতার রাস্তায় হাঁটলেন কংগ্রেস-সহ সব বিরোধী দলের নেতারাই। বিরোধীদের দাবি, জাতীয় সুরক্ষা এবং পেগাসাস নিয়ে যতক্ষণ সংসদে কথা বলতে দেওয়া হবে না, ততক্ষণ তাঁরা সংসদ অচল করেই রাখবেন। এই বিষয়কে হাতিয়ার করেই অধিবেশনের বাকি দিনগুলোয় কেন্দ্রকে চাপে রাখার পন্থা নিয়েছে ১৮ টি বিরোধী দল।

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত হয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘আমাদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। আমাদের বলা হয়েছে পেগাসাস নিয়ে কোনও আলোচনা হবে না। কিন্তু কেন এই আলোচনা করতে দেওয়া হবে না? আমাদের সাফ প্রশ্ন, ভারত সরকার কি পেগাসাস কিনেছে না কেনেনি? ভারত সরকার কি দেশের জনগণের ওপর নজরদারির জন্য হাতিয়ার ব্যবহার করেছে?’

তিনি আরও বলেন যে, ‘সংসদে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, আমরা সংসদ চালাতে দিচ্ছি না। কথাটা সত্যি নয়। আমরা মোটেও তা করছি না, আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করছি। এই অস্ত্র দেশদ্রোহী, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা উচিত ছিল। এই হাতিয়ার আমাদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হয়েছে। তাহলে এই নিয়ে কেন সংসদে কথাবার্তা হবে না? আমি অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদিকে জিজ্ঞেস করতে চাইছি, তাঁরা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে এই অস্ত্রকে ব্যবহার করলেন কেন?’

এখানেই শেষ নয়, রাহুল গান্ধী আরও বলেন যে, ‘আমাদের সরকার বলছে, পেগাসাস নিয়ে সংসদের ভেতরে কোনও কথা হবে না। আমি ভারতের যুবকদের জিজ্ঞেস করছি, আপনাদের ফোনের ভিতরে যদি নরেন্দ্র মোদী আড়িপাতার কৌশল করেন, আপনারা কী ব্যবস্থা চাইবেন!’

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লোকসভা ও রাজ্যসভার সংসদীয় দলনেতাদের এই বৈঠকে অবশ্য তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি ছিলেন না। এদিকে বৈঠকে রাহুল গান্ধী ছাড়াও কংগ্রেসের তরফে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশ নিয়েছেন বর্ষীয়ান নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, জয়রাম রমেশ। এছাড়া সমাদবাদী পার্টি, জেডিইউ, সিপিআই নেতারাও ছিলেন। মঙ্গলবারও বিরোধী দলগুলির বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। কিন্তু বুধবারের বৈঠক তাঁদের কাউকেই দেখা যায়নি।

বিরোধীদের মতে, এই ঘটনা দেশের মানুষের স্বার্থে আঘাত। কারণ, এই অস্ত্রকে ব্যবহার করা হয় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে, দেশদ্রোহিতার বিরুদ্ধে।