এরপর মুকুল রায়ের বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের পর, তাঁরও দলে ফেরার জল্পনা শুরু হয়। আবার গেরুয়া শিবির থেকেও তাঁর দূরত্ব ক্রমশ বাড়ছিল। দলের গুরুত্বপূর্ণ মিটিং-এও তিনি অনুপস্থিতি থাকছিলেন ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে। সেই কারণে তাঁর দলত্যাগের জল্পনা আরও বাড়তে থাকে। কিন্তু শনিবার তিনি নিজেই সব জল্পনায় জল ঢাললেন। বিজেপির রাজ্য দফতরে জোড়া চিঠি দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিলেন যে, তিনি দলের সঙ্গেই আছেন এখনও। দলের হয়েই কাজ করছেন। ডোমজুড়ের বিজেপি প্রার্থী শনিবার লোক মারফত ‘ঘরছাড়া’দের তালিকা পাঠালেন বিজেপির রাজ্য দফতরে।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে যে, শনিবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে দুটি চিঠি এসেছে বিজেপির রাজ্য দফতরে। এর মধ্যে তাঁর নিজের এলাকা ডোমজুড়ে ভোট পরবর্তী সময়ে হিংসার জেরে কতজন বিজেপি কর্মী ঘরছাড়া হয়েছেন, তা বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছে চিঠিতে। জানা গিয়েছে, দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী এবং সহ-সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুটি চিঠি পাঠিয়েছেন ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ক। তিনি চিঠিতে জানিয়েছেন, ভোটের পর থেকে ডোমজুড়ে যেসব অশান্তির ঘটনা ঘটেছে, তাতে যাঁরা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের ক্ষতিপূরণের আবেদন জানিয়ে, বিজেপি রাজ্য দপ্তরে পাঠানো হয়েছে তালিকা। রাজীবের ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, ওই নামের তালিকাটি তিনি তৈরি করেননি। তাঁর কাছে এসেছিল। কর্মী মারফত বিজেপি নেতৃত্বের কাছে সেটি পাঠিয়ে দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই কুণাল ঘোষের বাড়িতে গিয়ে তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই সাক্ষাতকে ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ বলেই জানিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ঘাসফুল শিবির থেকে ফেরার জন্য কোনও ইতিবাচক সাড়া পাননি। এদিকে, তৃণমূল সুপ্রিমো স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, নির্বাচনের আগে যাঁরা দল ছেড়ে কুৎসা করেছেন, তাঁদের নেওয়া হবে না। মনে করা হচ্ছে, সেই তালিকায় রয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এদিকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফের একবার বিজেপিতে সক্রিয় হওয়ার পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি তৃণমূলের কাছ থেকে সাড়া না পেয়েই, বিজেপির কাছাকাছি আসছেন রাজীব?