শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

অ্যালোপ্যাথি বিতর্ক থেকে অব্যাহতি পেতে, এবার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হলেন রামদেব

০৬:২২ পিএম, জুন ২৩, ২০২১

অ্যালোপ্যাথি বিতর্ক থেকে অব্যাহতি পেতে, এবার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হলেন রামদেব

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায়, চিকিৎসকদের পাশাপাশি ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (IMA) রোষের মুখে পড়েছিলেন যোগগুরু রামদেব। একাধিক থানায় তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। এবার তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সমস্ত মামলা দিল্লিতে স্থানান্তরিত করা এবং সব পুলিশি মামলা বন্ধ করার আর্জি জানিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হলেন, রামদেব।

গত মে মাসে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর, অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থার সমালোচনা করেন রামদেব। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল যে, ‘অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা আসলে বোকামি। চিকিৎসার নামে তামাশা চলে। লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যাচ্ছে শুধুমাত্র অ্যালোপ্যাথি ওষুধ খেয়ে।’ এরপরেই তাঁর এই মন্তব্য দেশের গোটা চিকিৎসক সমাজ এবং সংগঠনের জন্য চূড়ান্ত অসম্মানজনক বলে, দাবি ওঠে চিকিৎসক সংগঠনের পক্ষ থেকে।

যোগগুরু এর আগেও এই ধরনের একাধিক মন্তব্য করেছেন বলেও অভিযোগ করে আইএমএ। পরে, এই বিতর্কের জেরে এই মন্তব্য নিয়ে সাফাই দেয় রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি। রামদেবের সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এটা একটা গোপন বৈঠকের ভিডিও। যোগগুরু হোয়াটসঅ্যাপে আসা একটি মেসেজ সকলকে পড়ে শোনাচ্ছিলেন শুধু। তাঁর এই ভিডিও সম্পাদিত এবং ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। এরপরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। দেশের করোনা অতিমারির মতো স্পর্শকাতর পরিস্থিতির মধ্যে এই ধরনের মন্তব্য যাতে গ্রাহ্য করা না হয়, সেই কারণে মহামারি আইন কাজে লাগিয়ে, তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের-সহ বাবা রামদেবকে গ্রেফতার করার দাবি করে চিকিৎসকদের সংগঠন।  আইএমএর তরফেই রামদেবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে, স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখা হয়। এরপর চাপে পড়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন চিঠি লিখে, রামদেবকে ক্ষমা চাইতে অনুরোধ করেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অনুরোধে বাবা রামদেব প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেও, সঙ্গে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে ২৫ টি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, অ্যালোপ্যাথি যদি এতই ভাল হবে, তাহলে চিকিৎসকরা অসুস্থ হন কেন? অ্যালোপ্যাথি ২০০ বছরেও বহু রোগের ওষুধ তৈরি করতে পারেনি কেন? এরপরেই রামদেবের বিরুদ্ধে মানহানির নোটিশ পাঠায় IMA’র উত্তরাখণ্ড শাখা। একাধিক রাজ্যে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয় এফআইআর। তাঁর গ্রেফতারির দাবি ওঠে সোশ্যাল মিডিয়াতেও।

এরপরেও হার মানেননি রামদেব। উল্টে শুরু হওয়া বিতর্ক ও তাঁকে গ্রেফতার করা নিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন রামদেব। এক ভিডিওতে তাঁকে সে সম্পর্কে বলতেও শোনা গিয়েছিল। সেই ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘বাবা রামদেবকে কেউ গ্রেফতার করতে পারবে না। ওরা কেবল গোলমালই পাকাতে পারে। ওদের যা খুশি ওদের করতে দিন।’’ তবে, এবার আর কোনও চ্যালেঞ্জ নয়, সরাসরি তার বিরুদ্ধে হওয়া সব পুলিশি মাম‌লা থেকে অব্যাহতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন রামদেব।