শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

ফের শোকের ছায়া সুশান্তের পরিবারে! পাটনায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু সুশান্ত সিং-এর পরিবারের ৫ সদস্যের

০৯:১৭ পিএম, নভেম্বর ১৬, ২০২১

ফের শোকের ছায়া সুশান্তের পরিবারে! পাটনায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু সুশান্ত সিং-এর পরিবারের ৫ সদস্যের

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর শোক এখনও ভুলতে পারেননি পরিবারের লোকজন। তাঁরই মাঝে ফের শোকের ছায়া প্রয়াত অভিনেতার পরিবারে। মঙ্গলবার এক গাড়ি দুর্ঘটনায় সুশান্ত সিং-এর পরিবারের ৫ জন সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে বিহারের ৩৩৩ নম্বর জাতীয় সড়কে লখিসরাই জেলার হালসি থানার পিপড়ার আপগ্রেড মিডল স্কুলের সামনে একটি ট্রাকের সঙ্গে রাজপুত পরিবারের সদস্যরা যে গাড়িতে ছিলেন সেটির ধাক্কা লাগে। দুমড়ে-মুচড়ে যায় গাড়িটি। জানা গিয়েছে, ট্রাকটি খালি এলপিজি সিলিন্ডারে বোঝাই ছিল। এই দুর্ঘটনায় পরিবারের ৫ সদস্য ছাড়াও দুর্ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় গাড়ি চালকের। আরও ৪ জন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এদিন পরিবারের এক সদস্যের শেষকৃত্যে অংশ নিতেই পাটনা গিয়েছিলেন তাঁরা। প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের জামাইবাবু ওপি সিংহের বোন গীতা দেবী প্রয়াত হয়েছেন। এদিন তাঁর সৎকারে যোগ দিতে পটনা গিয়েছিলেন রাজপুত পরিবারের বেশ কয়েকজন। ফেরার পথেই ঘটে এই দুর্ঘটনা। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের লখিসরাই জেলায়।

লখিসরাইয়ের পুলিশ সুপার সুশীল কুমার জানিয়েছেন, ‘ট্রাকের সঙ্গে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয় টাটাসুমোটির। গাড়িতে সেই সময়ে ১০ জন ছিলেন। দুর্ঘটনায় গাড়ির চালক-সহ পরিবারের পাঁচজন সদস্য অর্থাৎ মোট ৬ জন ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। বাকি চারজনকে অত্যন্ত গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিবারের আহত চার সদস্যের মধ্যে বালমুকুন্দ সিং এবং দিলখুশ সিংয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার কারণে তাঁদের ইতিমধ্যেই পাটনার একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বাকি দু'জন বাল্মিকী সিং এবং তনু সিং লখিসরাই জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মৃত পাঁচজনের দেহ উদ্ধার করে লখিসরাই হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ময়না তদন্তের জন্য। এদিকে, মৃতেরা হলেন লালজিৎ সিং (ও পি সিংয়ের বোনের বর), তাঁর দুই ছেলে অমিত শেখর ওরফে নেমানি সিং এবং রামচন্দ্র সিং, মেয়ে বেবি দেবী, ভাগ্নি অনিতা দেবী এবং গাড়ির চালক প্রীতম কুমার। জানা গিয়েছে, লালজিৎ সিং হরিয়ানা পুলিশে কর্মরত ছিলেন।