শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

এবার করোনার টিকা আনছে মুকেশ আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্স! অনুমতি মিলল টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের

০৬:৫৫ পিএম, আগস্ট ২৭, ২০২১

এবার করোনার টিকা আনছে মুকেশ আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্স! অনুমতি মিলল টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আরও এক করোনার টিকা আসতে চলেছে। তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। এবার করোনার টিকা আনতে চায় মুকেশ আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্স। ভারতের সবচেয়ে বড় বেসরকারি সংস্থা ‘লাইফ সায়েন্স’ শাখার পক্ষ এ সেই টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানোর অনুমতি মিলেছে। বেশ কিছুদিন ধরেই এই টিকা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছিল রিলায়েন্স। এরপরই তারা ট্রায়াল শুরু আবেদন জানানো হয় ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডের কাছে। অবশেষে সেই ট্রায়ালের অনুমতি মিলেছে।

উল্লেখ্য, দেশে সর্বপ্রথম করোনা টিকার অনুমোদন পেয়েছিল সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড। এরপরই অনুমতি পায় ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন। এরপর একে একে অনুমোদন পেয়েছেন রাশিয়ার স্পুটনিক ভি, জনসন অ্যান্ড জনসন, মডার্না এবং ক্যাডিলার জাইকভ-ভি। এবার এই করোনার টিকার তালিকায় আরও এক নাম যুক্ত হওয়ার সম্ভবনা তৈরি হয়েছে। তাও মুকেশ আম্বানির সংস্থার তৈরি টিকা।

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবারই মিকেশ আম্বানির সংস্থার তৈরি দুই টিকার ট্রায়ালের আবেদনের বিষয়টি খতিয়ে দেখে ড্রাগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পাশাপাশি নিরাপত্তার দিক এবং অন্যান্য আরও নানা দিক খতিয়ে দেখতে চায় রিলায়েন্স। জানা গিয়েছে, এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলবে ৫৮ দিন। এরপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার ট্রায়ালের দিকে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে মুকেশ আম্বানির সংস্থার।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত জানুয়ারি থেকে দেশে করোনার টিকাকরণ শুরু হয়েছিল। শুরুদিকে দুই করোনা ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন টিকা দেওয়া শুরু হয়। এরপর তালিকায় আরও ভ্যাকসিনের নাম যুক্ত হয়। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এ বছরের মধ্যেই দেশের সকলকে টিকা দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। যদিও পরে, লোকসভায় এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, সে ব্যাপারটা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। তবে তা না হলেও কেন্দ্র যে দ্রুত টিকাকরণ সম্পূর্ণ করতে চাইছে তা স্পষ্ট।

এদিকে করোনার দ্বিতয় ঢেউ কিছুটা আগের তুলনায় নিয়ন্ত্রণে এলেও কিছুতেই বাগে আসছে না করোনার গ্রাফ। করোনা গ্রাফে ওঠানামা অব্যাহত রয়েছে। দেশে ফের ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বমুখী কোভিড গ্রাফ। তবে দেশের দৈনিক আক্রান্তের সিংহভাগই এই মুহূর্তে কেরলের। আর কেরলে লাগাতার সংক্রমণ বাড়ার ফলে দেশের অ্যাকটিভ কেস এবং আক্রান্তের সংখ্যা দুটোই বাড়ছে। যা রীতিমত উদ্বেগ বাড়িয়েছে কেন্দ্রের।