শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

যেন ঈশ্বরের রূপ! সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে এক যাত্রীকে উদ্ধার করলেন মহিলা আরপিএফ কর্মী! মুহূর্তেই ভাইরাল ভিডিও

০৮:৫৯ পিএম, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১

যেন ঈশ্বরের রূপ! সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে এক যাত্রীকে উদ্ধার করলেন মহিলা আরপিএফ কর্মী! মুহূর্তেই ভাইরাল ভিডিও
বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ মেয়েরা পারে না এমন কোনও কাজই নেই। তা সে চাঁদে পাড়ি দেওয়া থেকে, যুদ্ধবিমান চালানো হোক বা দেশের নিরাপত্তা রক্ষা, নারী সবেতেই সিদ্ধহস্ত। আবার নারী জাতি যেমন প্রাণের জন্ম দিতে পারে, ঠিক সেইভাবেই মৃত্যুর মুখ থেকে কাউকে উদ্ধার করতেও পারে। এ উদাহরণ ভুরিভুরি রয়েছে। ফের একবার সেই কথাই একটি ঘটনা প্রমাণ করে দিল। নারী পারে না এমন কোনও কাজই নেই। সেই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ভারতের এক ব্যস্ত স্টেশনে। সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে এক রেলযাত্রীকে প্রাণে বাঁচালেন এক মহিলা আরপিএফ কর্মী। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নেটিজেনরা কুর্নিশ জানিয়েছেন ওই মহিলা আরপিএফ কর্মীকে। ঘটনাটি চলতি মাসের ৮ তারিখের। বিশাখাপত্তমে চলন্ত ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করছিলেন এক ব্যক্তি। সেই সময়ই আচমকাই ওই ব্যক্তির পা পিছলে যায়। তাঁর পা চলে যায়, ট্রেন ও প্ল্যাটফর্মের মাঝের ফাঁকা জায়গায়। আর একটু এদিক-ওদিক হলেই বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। এমন একটা কঠিন সময়ে, সাক্ষাৎ ঈশ্বরের বেশে হাজির হন ওই স্টেশনে উপস্থিত এক মহিলা আরপিএফ কর্মী। হাত ধরে টেনে তোলেন তিনি ওই যাত্রীকে। ওই মহিলা কর্মীর উপস্থিত বুদ্ধি ও সাহসিকতার জন্যই প্রাণে বাঁচেন ওই ব্যক্তি। সে সময় অবশ্য স্টেশনে উপস্থিত অন্য আরপিএফ কর্মীরাও সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন। এই গোটা ঘটনার ভিডিওটি ভারতীয় রেল তাদের টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছে। সেখানে তারা জানিয়েছে, মানবিকতার সেবাই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পায়। এক সতর্ক মহিলা আরপিএফ কর্মীর জন্য প্রাণ বাঁচল এক যাত্রীর। জানা গিয়েছে যে, যাত্রীদের নিরাপত্তার খাতিরে 'মেরি সহেলি' নামে একটি ব্যাটেলিয়ন তৈরি হয়েছে আরপিএফে। সেই ব্যাটেলিয়নেরই সদস্য ওই মহিলা কর্মী। তাঁরই বডি-ক্যামেরায় পুরো ঘটনাটি রেকর্ড হয়। সেই ভিডিও আপাতত ভাইরাল নেটদুনিয়ায়। https://twitter.com/RailMinIndia/status/1359452504312827905 প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও মহারাষ্ট্রে দুটি পৃথক ঘটনায় চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে এভাবেই মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছিলেন দুই ব্যক্তি, আর তাঁদের প্রাণ রক্ষা করেছিলেন দুই পুলিশ কর্মী।