বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ যত সময় এগোচ্ছে, ততই ক্রমশ খারাপ হচ্ছে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি। এ যেন এক অন্ধকারময় আফগানিস্তানের ছবি। মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই গোটা দেশটা আতঙ্কের অতল গহ্বরে চলে গিয়েছে। দেশ ছেড়ে পলায়ন করেছেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্টের প্রাসাদের দখল নিয়েছে তালিবান। এই পরিস্থিতিতে নিজের দেশকে আর সুরক্ষিত মনে করছেন না আফগানরা।
এদিকে সোমবার কাবুলে রাশিয়ার দূতাবাস জানিয়েছে যে, আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি চারটি গাড়ি এবং নগদে ভরা একটি হেলিকপ্টার নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। জানা গিয়েছে যে, এই মুহূর্তে তিনি ওমানে রয়েছেন। এদিন তিনি জানিয়েছেন যে, তালিবান কার্যত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাবুলে প্রবেশ করার পর তিনি আফগানিস্তান ত্যাগ করেন। তার একমাত্র কারণ তিনি রক্তপাত এড়িয়ে যেতে চেয়েছেন তাই। এর পাশাপাশি তালিবানদের সঙ্গে সরকারের শান্তি আলোচনার মধ্যস্থতার জন্য যে ‘হাই কাউন্সিল ফর ন্যাশনাল রিকনসিলেশন’ গঠন করা হয়েছিল, তা নিয়ে এবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ঘানি।
এদিন টুইটে আফগান প্রেসিডেন্ট বলেন যে, কাউন্সিল এবং সংসদের অন্য নেতারাও চান ইসলামিক রিপাবলিক অফ আফগানিস্তানের সঙ্গে কাজ করতে।
https://twitter.com/ashrafghani/status/1424997952645369857এদিকে, ‘হাই কাউন্সিল ফর ন্যাশনাল রিকনসিলেশন’ এর চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন যে, প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির এই কাজের জন্য আল্লাহর কাছে তাঁকে জবাব দিতে হবে। পুরো জাতি এর বিচার করবে। এই মন্তব্যের পর, ঘানির এই পোস্টে ফের বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
https://twitter.com/ashrafghani/status/1424997935293554705অন্যদিকে রাশিয়ার বক্তব্য, তাঁরা কাবুলে কূটনৈতিক অবস্থান বজায় রাখবে। পাশাপাশি তালিবানদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার আশাও রাখছে রাশিয়া। তবে, রাশিয়া এও বলছে যে, তাদের দেশের শাসক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার তাড়া নেই এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কাবুলে রুশ দূতাবাসের মুখপাত্র Nikita Ishchenko আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির পলায়ন প্রসঙ্গে বলেন, ‘যেভাবে ঘানি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, তাতে স্পষ্ট আফগান সরকারের বিদায়ের ঘণ্টা বেজে গিয়েছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘চারটি গাড়িতে ভর্তি ছিল, এমনকী আর একটি হেলিকপ্টারেও। কিন্তু পুরো টাকা নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।’