বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

৪৮-এ পা দিলেন 'ক্রিকেট ইশ্বর'! সচিন তেন্ডুলকরের প্রাপ্তির ঝুলিতে রয়েছে এই রেকর্ড!

০১:০৭ পিএম, এপ্রিল ২৪, ২০২১

৪৮-এ পা দিলেন 'ক্রিকেট ইশ্বর'! সচিন তেন্ডুলকরের প্রাপ্তির ঝুলিতে রয়েছে এই রেকর্ড!

খেলা প্রিয় দেশ ভারতের কাছে ক্রিকেটটা যেন সাধারণ কোনও খেলা নয়৷ এ যেন এক ধর্ম। আর সেই ধর্মের ঈশ্বরও একজনই, সচিন রমেশ তেন্ডুলকর। ভারতবাসী তাঁকে 'ক্রিকেটের ভগবান'-এর আসনে বসিয়েছেন। আর ক্রিকেটের সেই ভগবানেরই আজ জন্মদিন। তিনি পা দিলেন ৪৮-এ।

দেশের খেলা-প্রিয় তরুণ প্রজন্মের কাছে সচিন যেন এক অনুপ্রেরণার নাম। পুরনো রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়া যেন ছিল তাঁর বাঁ হাতেরই খেলা। অবশ্য ক্রিকেটটা তিনি খেলতেন ডান হাতেই। আর সেভাবেই গড়েছেন একের পর রেকর্ড। ছুঁয়েছেন একের পর এক প্রাপ্তির শিখর। আসুন চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক, ঠিক কী কী রেকর্ডে ভরা রয়েছে 'মাস্টার ব্লাস্টার'-এর ঝুলি...

১. ১৯৮৯ সালের ১৫ নভেম্বর। করাচিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাত্র ১৬ বছর বয়সে টেস্ট ম্যাচে ডেবিউ হয় সচিন তেন্ডুলকরের। তাঁর বিপরীতে তখন ইমরান খান, ওয়াসিম আক্রমের মতো তাবড় তাবড় সব ক্রিকেটার। সেদিন মাত্র ১৫ রান করলেও টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের প্রথম তরুণ ডেবিউয়ের শিরোপা একমাত্র সচিনেরই মাথায়। এখনও অবধি সে রেকর্ড অটুট।

২. নিজের ২৪ বছরের ক্রিকেট জীবনে টেস্ট খেলার সংখ্যা মোট ২০০টি। আর সেঞ্চুরির সংখ্যা? ৫১টি! তাঁর মধ্যে ২৯ টিই ভারতের বাইরে। ১৭টি সময় সেঞ্চুরি 'SENA' দেশগুলির বিরুদ্ধে। অর্থাৎ দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। এও এক রেকর্ড।

৩. মোট ৬টি বিশ্বকাপ খেলেছেন সচিন। বিশ্বকাপে মোট ৬টি সেঞ্চুরি রয়েছে তাঁর নামে।

৪. ভারতের হয়ে শেষ খেলা ২০১৩ এর নভেম্বরে। মুম্বইয়েও ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ২০০ তম টেস্ট ম্যাচ খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারকে বিদায় জানান সচিন।

৫. নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারে একাধিক সম্মান ও পুরস্কার অর্জন করেছেন সচিন। ভারতের সর্বোচ্চ ক্রীড়া পুরস্কার রাজীব গান্ধি খেল রত্ন অ্যাওয়ার্ড রয়েছে 'মাস্টার ব্লাস্টার'-এর ঝুলিতে। এছাড়াও ১৯৯৪ সালে অর্জুন পুরস্কার, ১৯৯৯ সালে পদ্মশ্রী এবং ২০০৮ সালে পদ্ম বিভূষণ পেয়েছেন তিনি। ক্রকেট থেকে অবসরের পর ২০১৩ সালে তাঁকে ভারতরত্ন সম্মানেও ভূষিত করা হয়।

৬. সম্প্রতি ফের ক্রিকেটের ময়দানে দেখা গিয়েছিল সচিন তেন্ডুলকরকে। Road Safety World Series-এ ভারতীয় লেজেন্ড দলের অধিনায়ক হিসেবে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। টুর্নামেন্টটি জিতেও নেন তাঁর দল।