শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

পরিবেশ রক্ষার বার্তা নিয়ে রিক্সা চালিয়েই কলকাতা থেকে সিয়াচেন পাড়ি বাংলার সত্যেন দাসের!

০৮:০৫ পিএম, আগস্ট ৯, ২০২১

পরিবেশ রক্ষার বার্তা নিয়ে রিক্সা চালিয়েই কলকাতা থেকে সিয়াচেন পাড়ি বাংলার সত্যেন দাসের!

গ্লোবালাইজেশনের ফলে আধুনিক পৃথিবীতে বাড়ছে দূষণ ও গড় তাপমাত্রার পরিমাণ। উষ্ণায়নের ফলে একদিকে যেমন গলছে হিমবাহ অন্যদিকে তেমনই বদলে যাচ্ছে গড় বৃষ্টিপাত ও মৌসুমী বায়ুর সময়। এর ফলেই বিপন্ন প্রাকৃতিক সম্পদ ও জীববৈচিত্র‍্য। এসবের মধ্যেই পরিবেশ রকম রক্ষার তাগিদে পথে নামছেন বহু মানুষ। তাঁদের উদ্দেশ্য একটাই, প্রকৃতির ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা। আর এরকমই একজন হলেন বাংলার সত্যেন দাস। তবে তিনি এমন এক উদ্যোগ নিয়েছেন, যা দেখলে চোখ কপালে উঠবেই! পরিবেশ রক্ষার বার্তা নিয়ে রিক্সা চালিয়েই কলকাতা থেকে সিয়াচেনের পথে পাড়ি দিয়েছেন তিনি।

কলকাতা থেকে দুই নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে পাড়ি দিয়েছেন সিয়াচেনের উদ্দেশ্য রওনা শুরু সত্যেন দাসের। উদ্দেশ্য একটাই, পরিবেশ সম্পর্কে মানুষের মনে সচেতনতা গড়ে তুলে প্রকৃতিকে রক্ষা করা। প্রকৃতির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ বেশ নিবিড়। আধুনিক সভ্যতা কবলে পড়ে তা যে আজ ধ্বংসের পথে সেটা উপলব্ধি করেই জেদ চেপে বসে সত্যেন বাবুর মাথায়। পরিবেশ বাঁচাতে এর আগেও বহুবার উদ্যোগী হয়েছেন তিনি। ২০১৪ সালে রিক্সা চালিয়েই ৬৫ দিন ব্যয় করে লাদাখ যাত্রায় গিয়েছিলেন তিনি। এবারও ফের একই উদ্দেশ্যে সিয়াচনের পথে পা বাড়ালেন সত্যেন বাবু।

গতবার লাদাখের পথে তিন হাজার কিলোমিটার রাস্তা রিক্সা চালিয়ে গিয়েছিলেন সত্যেন বাবু। তবে এবারের যাত্রা আরও কঠিন। তবে সেই কঠিনকেই জয় করে এগিয়ে চলেছেন তিনি। যাত্রাপথে দুর্গাপুরে এসে থেমেছিলেন এই 'রিক্সাচালক'। দুর্গাপুর মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে তাঁকে সংবর্ধনাও দেওয়া হয়েছে। সেখানেও পরিবেশ রক্ষা ও পৃথিবীকে বাঁচানোর বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছেন সত্যেন বাবু। আপাতত দুর্গাপুর ছাড়িয়ে তিনি গন্তব্যের দিকে আরও একটু এগিয়ে গিয়েছেন।

https://www.facebook.com/avirupg/videos/356759092619079

নিজের যাত্রা প্রসঙ্গে সত্যেন দাস জানিয়েছেন, তার প্রথম যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৩ সালে। সে সময় অর্থ সংকটের জন্য পুরী যেতে পারছিলেন না তিনি। তাই খেয়ালের বশে সাইকেল নিয়েই পুরীর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েছিলেন। তারপর থেকেই সাইকেল বা রিক্সা নিয়ে দূর-দূরান্তে ছুটে যাওয়ার নেশা পেয়ে বসেছে তাঁকে। আর বর্তমানে এই নেশার সঙ্গে যোগ হয়েছে পরিবেশ রক্ষার তাগিদ। সেই টানেই রিক্সা নিয়ে পথে নেমে পড়েছেন তিনি।

সত্যেন বাবুর কথায়, বিশ্ব উষ্ণায়ন থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করা বা সবুজ ও জল বাঁচানোর প্রচারের এই লড়াই তিনি নিরন্তর চালিয়ে যাবেন। তাঁর আশা, গতবার লাদাখের মতো পরিবেশ রক্ষার এই যাত্রাতেও তিনি সফল হয়েই ফিরবেন। তাঁর এই পরিশ্রম এবং প্রচারের ফলে মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে পারবেন। তবেই তিনি সফল হবেন। সত্যেন বাবুর এই লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছেন রাজ্যবাসীও।