আজই প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিকের ফলাফল৷ মঙ্গলবার মাধ্যমিকে ছাত্র ছাত্রীদের পাওয়া সর্বোচ্চ নম্বর জানিয়ে দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ফলাফল প্রকাশের পর জানা যায়, ৭০০-র মধ্যে ৬৯৭ পেয়েছেন ৭৯ জন। অর্থাৎ এবার মাধ্যমিকে প্রথম স্থান অধিকার করেছে ওই ৭৯ জন। এরপরই সেই পড়ুয়াদের নিয়ে একাধিক ট্রোলে ভেসে যায় সোশ্যাল মিডিয়া। সেই স্রোতে গা ভাসিয়েছেন বামনেতা শতরূপ ঘোষ। তবে পড়ুয়াদের ট্রোল করতে গিয়ে এবার নিজেই পাল্টা ট্রোলড হয়ে গেলেন যুবনেতা।
ঠিক কী ঘটেছে? আজ সকালে মাধ্যমিকে ৭৯ জনের একসঙ্গে প্রথম হওয়ার খবর শুনেই শতরূপ ঘোষ সেই পড়ুয়াদের নিয়ে মস্করা করেন। এদিন ফল প্রকাশের পর ফেসবুকে ব্যঙ্গাত্মকভাবে তিনি লেখেন, 'একসাথে ৭৯ জন ছায়া প্রকাশনীর মডেল'। এরপরই বামনেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন নেটিজেনদের একাংশ। তাঁদের মতে শিক্ষিত বাম যুবনেতার থেকে এরূপ মস্করা আশা করা যায় না। তার জেরে শতরূপকে রীতিমতো আক্রমণ করাও শুরু হয়।
ফেসবুকে শতরূপের সমালোচনা করে অনেকে মন্তব্য করেন, 'ছায়া প্রকাশনীর ৭৯ জন মডেল হয়ে গেলেও পশ্চিমবঙ্গের তথাকথিত শিক্ষিত রাজনৈতিক দল একটি আসনও পেল না।' অনেকে আবার এবারের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমের 'শূন্য'কে মনে করিয়ে লিখেছেন, 'এ বছর ফেলের হার তোমাদের এমএলএ সংখ্যার সমান।' বলাই বাহুল্য, এ বছর পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় মাধ্যমিকে কেউ ফেল করেনি। অর্থাৎ অকৃতকার্য পড়ুয়ার সংখ্যা শূন্য। সেই প্রসঙ্গ তুলেই শতরূপ আর সিপিএমকে খোঁচা দিলেন অনেকে।
https://www.facebook.com/shatarup.ghosh.9/posts/10159384444529836ওই পোস্টেই কেউ কেউ আবার শতরূপের মানবিক বোধের উপরও প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। লিখেছেন, 'মান আর হুঁশ সম্পন্ন হলে তবেই তাকে মানুষ বলে ডাকা হয়। আপনার উপর আমার ভীষণ করুণা হচ্ছে। আপনার উপর শিক্ষার কী প্রভাব, তা নিয়ে সংশয় থেকে যাচ্ছে৷' অনেকে আবার ফেসবুক থেকে পোস্টটি ডিলিট করে দেওয়ার কথাও বলেন। সবমিলিয়ে ট্রোল করতে গিয়ে পাল্টা হাস্যাস্পদেই পরিণত হল শতরূপের পোস্টটি।
যদিও এই প্রসঙ্গে শতরূপের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অবশ্য রাজনৈতিক মহলের মতে, পরীক্ষার মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়েই আসতে প্রশ্ন করতে চেয়েছিলেন শতরূপ। যদিও সেটিকে যে নেটিজেনরা ভালো নজরে দেখেননি এ কথা বলাই বাহুল্য। ব্যঙ্গ করতে গিয়ে বেশ বিপাকেই পড়েছেন শতরূপ।