ঘূর্ণিঝড় যশ বিপর্যস্ত করে দিয়েছে দুই মেদিনীপুর এবং দুই ২৪ পরগনা জেলাকে। তছনছ হয়ে গিয়েছে পশ্চিমের জেলাগুলির জনজীবন। এই পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা গুলিকে ফের ছন্দে ফেরাতে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার দাবি জানালেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য সরকারের কাছে বৃহস্পতিবার এই দাবি জানান তিনি। একই সঙ্গে বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের এই বিপর্যয়ের সময় উপেক্ষা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন এই বিজেপি নেতা।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী জানান, "পরিস্থিতি মোকাবেলায় সর্বদলীয় বৈঠকের দাবি জানাচ্ছি রাজ্য সরকারের কাছে। ত্রাণ এবং মানুষের পাশে যদি সত্যিই উনি দাঁড়াতে চান তাহলে সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করুন।" এর পরেই রাজ্যের বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিদের অবহেলা এবং অপেক্ষা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, " বিরোধী দলের বিধায়করা ফোন করলে ব্লক আধিকারিকরা জবাব দিচ্ছেন না। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যেও রাজ্যের বিরোধীদলের জনপ্রতিনিধিদের উপেক্ষা করা হচ্ছে।"এই পুরো বিষয়টিকে গণতন্ত্রের পরিপন্থী বলেও সুর চড়িয়েছেন শুভেন্দু বাবু।
প্রধানমন্ত্রী সবার সঙ্গে বৈঠক করলেও রাজ্যের সরকার বিজেপি প্রতিনিধিদের উপেক্ষা করছেন। বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে নিজের কার্যালয় ৬ বিজেপি বিধায়ককে পাশে নিয়ে এমনটাই অভিযোগ করেছেন তিনি। এদিন দাবি করে তিনি বলেন, "এ বিপর্যয়ের সময় দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে রাজ্যের একসঙ্গে কাজ করা উচিত। আমরা আশা করব প্রশাসন এই ধরনের বিপর্যয়ের সময় দল-মতের উপরে উঠে কাজ করবে। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে সবরকম সহযোগিতা করার জন্য তৈরি।" প্রসঙ্গত, এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন খেজুরির বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক, ময়নার বিধায়ক অশোক ডিন্ডা, উত্তর কাঁথির বিধায়ক সুমতি সিন্হা, ভগবানপুরের রবীন্দ্রনাথ মাইতি, দক্ষিণ কাঁথির অরূপ দাস এবং হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল।
অন্যদিকে এদিন তিনি আরো অভিযোগ করেন, বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য নন্দীগ্রাম ১নম্বর ব্লকের নদী তীরবর্তী একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি রাজ্য সরকার। সে ক্ষেত্রে দক্ষিণ কাঁথির মাজিলাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভিদেও ৩০০ পরিবারকে থাকতে দেওয়া হয়নি বিজেপি করার অপরাধে। এই সকল মানুষদের ব্যবস্থা বিজেপি করেছে বলে দাবি করেন তিনি।