শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

অল্প পরিমাণ মাদক বাজেয়াপ্ত হলে জেল নয়! পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানোর প্রস্তাব কেন্দ্রের

১০:৫০ এএম, অক্টোবর ২৫, ২০২১

অল্প পরিমাণ মাদক বাজেয়াপ্ত হলে জেল নয়! পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানোর প্রস্তাব কেন্দ্রের

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বেশ কিছু সময় ধরেই মাদক কাণ্ডে উত্তাল গোটা দেশ। মাদক সেবন, মাদক পাচার কিংবা মাদক কেনা-বেচা কতোটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ, তা নিয়ে চলছে বিস্তর কাটাছেঁড়া ও আলোচনা। বলি অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু থেকে শুরু কপরে হালফিলে আরিয়ান খানের গ্রেফতারি। বলিউডের মাদক যোগ নিয়ে যখন আলোচনা তুঙ্গে, ঠিক সেই সময় নয়া এবং গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিল কেন্দ্রীয় সামাজিক বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের। রাজস্ব দফতরকে NDPS আইন নতুন করে সংশোধন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এই মন্ত্রকের তরফে।

আইন অনুযায়ী মাদকের নেশা করলে ও কারও কাছে মাদক বাজেয়াপ্ত হলে তাকে জেলে পাঠানো হয়। নারকোটিকস ড্রাগস অ‌্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট‌্যান্সেস (এনডিপিএস) আইনের এই নিয়মকেই এবার সংশোধন করার প্রস্তাব দিল কেন্দ্রীয় সামাজিক ও ন‌্যায়বিচার মন্ত্রক। তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী, ব্যক্তিগত স্তরে সেবনের জন্য বা কারও কাছে মাদক বাজেয়াপ্ত হলে, তাঁকে আর জেলে পাঠানো নয়। তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ নয়।

দিন কয়েক আগে জমা দেওয়া ওই আইন সংশোধনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের জেলে না পাঠিয়ে তাঁদের প্রতি মানবিক হওয়া প্রয়োজন। এমনকি এও বলা হয়েছে যে, ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য কোনও মাদক ব্যবহারকারীর কাছ থেকে অল্প পরিমাণ মাদক পাওয়া গেলেও তাঁকে যেন জেলে পাঠানো না হয়। নেশাগ্রস্তদের অপরাধি হিসেবে বিবেচনা না করে, মাদকের শিকার হিসেবে বিবেচনা করা হোক। সেক্ষেত্রে তাঁদের জেলে না পাঠিয়ে পুনর্বাসন কেন্দ্রের পাঠানো হোক বা নেশা কাটানোর অন্য উপায়ের সন্ধান দেওয়া হোক।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানের মাদক যোগের পর থেকে তাঁকে জেলেই রেখেছে এনসিবি। সেই ঘটনার জেরে উত্তাল বলিউড থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহলও। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের প্রস্তাব এবং মনোভাবে অনেকেই হতবাক। বিশ্লেষকদের মতে, যুবপ্রজন্মকে মাদকের গ্রাস থেকে বাঁচাতে এবার নীতিগত পরিবর্তন আনর পক্ষেই সায় দিয়েছে কেন্দ্র। যার জেরে জেলের পরিবর্তে মাদকে আসক্তদের বিশেষরূপে তৈরি সংশোধনাগরে রেখে চিকিৎসার পথকেই উপযুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে।

উল্লেখ‌্য, এনডিপিএস আইনে সংশোধন চাইলে কী ধরনের পরিবর্তন প্রয়োজন সে ব‌্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, স্বাস্থ‌্যমন্ত্রক, সোশ‌্যাল জাস্টিস অ‌্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট মন্ত্রক, নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো ও সিবিআইয়ের কাছে গত মাসে জানতে চেয়েছিল শুল্ক দপ্তরের আওতায় থাকা এনডিপিএস আইনের নোডাল প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ। তারই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সামাজিক ও ন‌্যায়বিচার মন্ত্রক এই সংশোধনী প্রস্তাব পাঠিয়েছে।