শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

আদৌ কি ২৫ ডিসেম্বর জন্মেছিলেন যীশু? বড়দিনে জেনে নিন ক্রিসমাসের কিছু অজানা তথ্য

০২:৪৭ পিএম, ডিসেম্বর ২৫, ২০২১

আদৌ কি ২৫ ডিসেম্বর জন্মেছিলেন যীশু? বড়দিনে জেনে নিন ক্রিসমাসের কিছু অজানা তথ্য

আজ ২৫শে ডিসেম্বর, ক্রিসমাস। বাঙালির কাছে যা বড়দিন। আর বড়দিনকে বাঙালি চেনে যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন হিসাবেই। তবে এই বড়দিন ঘিরেই জড়িয়ে রয়েছে এমন কিছু তথ্য, আমজনতার কাছে যা আজও অজানা। বড়দিনের প্রাক্কালে সেই তথ্যগুলিই একবার ঝালিয়ে নেওয়া যাক...

১. ২৫ ডিসেম্বর আদৌ জন্ম হয়নি প্রভু যীশু যীশু খ্রিস্ট ঠিক কবে জন্মেছিলেন তার প্রামান্য কোনও ঐতিহাসিক তথ্যই নেই। দুটি গসপেলে রয়েছে যীশুর জন্মবৃত্তান্ত। কিন্তু সেখানে কোথাও ২৫ ডিসেম্বর তারিখের উল্লেখ পাওয়া যায়নি। অতএব, যীশু যে এই দিনেই জন্মেছিলেন তা খুব জোর দিয়ে বলা যায় না।

২. ক্রিসমাস এর আসল নাম 'ক্রাইস্ট্‌স মাস' ক্রাইস্টস মাস থেকে এসেছে ক্রিসমাস শব্দটি। ষোড়শ শতক থেকে লোকমুখে চালু হয় এই শব্দ।

৩. প্রাচীন পেগান উৎসবই আজকের ক্রিসমাস প্রাচীন রোমে ২২ ডিসেম্বর শুরু হত একটি লোকজ উৎসবের। তা চলত প্রায় ১৫ দিন ধরে। নাম ছিল পেগান উৎসব। তবে যীশুর মৃত্যুর অনেক পর এই সময়টিকেই তাঁর জন্মদিন পালনের জন্য বেছে নেওয়া হয়ছিল।

৪. আর্মেনিয়ানরা ক্রিসমাস পালন করেন ৭ জানুয়ারি গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২৫ ডিসেম্বর পালিত হয় ক্রিসমাস। তবে প্রাচীন জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে ক্রিসমাসের দিন, ৭ জানুয়ারি। পৃথিবী বহু অর্থোডক্স চার্চ এবং আর্মেনিয়ান চার্চেও ৭ জানুয়ারি পালন করা হয় বড়দিন।

৫. আমেরিকায় ছিল না কোনও ক্রিসমাসের ছুটি আঠেরোশো শতকের আগে আমেরিকায় ক্রিসমাসে দেওয়া হত না কোনও সরকারী ছুটিই। ১৮৭০ সাল থেকে ক্রিসমাস উৎসব পালিত হয় সেখানে৷ তবে আরেক মার্কিন রাজ্য ওকলাহামায় বড়দিনের ছুটি ঘোষিত হয় ১৯০৭ সালে।

৬. সান্তা ক্লজ আদতে একটি বিজ্ঞাপনী চরিত্র সান্তা ক্লজের নাম আসলে সেন্ট নিকোলাস। যিনি ছিলেন মধ্যযুগের এক সন্ত৷ তিনি সত্যিই গোপনে উপহার দিতেন বাচ্চাদের। কিন্তু এ যুগের আধুনিক যে সান্তা ক্লজের সঙ্গে আমরা পরিচিত সেটি আসলে একটি বিজ্ঞাপনী চরিত্র৷ উনিশ শতকের এক বিজ্ঞাপনে তাঁর উদ্ভব।

৭. ক্রিসমাস ট্রি সাজানোর রীতি চালু হল ষোড়শ শতকে প্রাচীন কালে এই চিরসবুজ ফার গাছটি আসলে ছিল উপাসনার প্রতীক। ষোড়শ শতকে জার্মানিতে প্রথম আধুনিক ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয়েছিল। প্রোটেস্ট্যান্ট রিফর্মার মার্টিন লুথার প্রথম আলো দিয়ে সাজিয়ে ছিলেন এই গাছ। আঠেরোশো শতক থেকে তা প্রায় গোটা বিশ্বেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।