শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

মাত্র তিন ফুট উচ্চতা, ছোটবেলা থেকেই বৈষ্যমের শিকার! বাধা-বিপত্তি জয় করে IAS অফিসার এই কন্যা

০৯:৩৩ পিএম, জুন ৩০, ২০২১

মাত্র তিন ফুট উচ্চতা, ছোটবেলা থেকেই বৈষ্যমের শিকার! বাধা-বিপত্তি জয় করে IAS অফিসার এই কন্যা

ইচ্ছেশক্তির জয়! কথায় বলে, মনের জোর আর ইচ্ছে থাকলে যে কোনও অসম্ভবকেই সম্ভব করে তোলা যায়৷ সে কথাই যেন ফের প্রমাণ করেছেন এই কন্যে! তিনি আরতি ডোগরা। উচ্চতা মাত্র তিন ফুট। তাই ছোটবেলা থেকেই একের পর বৈষম্যের শিকার তিনি৷ তবু হাল না ছেড়ে, সকল বাধা-বিপত্তি জয় করে তিনি আজ একজন সফল IAS অফিসার। বর্তমানে রাজস্থানের আজমেরে জেলা আধিকারিক পদে কর্মরতা তিনি।

উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে জন্ম আরতি ডোগরার। উচ্চতা মাত্র তিন ফুট ছয় ইঞ্চি। এই কারণে ছোটবেলা থেকেই একাধিকবার বৈষম্যের শিকার হয়েছিলেন তিনি। আরতির জন্মের সময়েই ডাক্তাররা বলে দিয়েছিলেন, বাচ্চাদের সঙ্গে সাধারণত স্কুলে পড়াশুনা করতে পারবে না সে। কিন্তু বাকি সবার সঙ্গে লড়াই চালিয়ে আরতির বাবা-মা তাঁকে পড়াশোনার জন্য সাধারণ স্কুলেই ভর্তি করেন। আরতি যখন ধীরে ধীরে বড় হতে লাগল, তখন সমাজের বঞ্চনা শিকার হতে শুরু করলেন তিনি৷ কিন্তু হাল ছাড়েননি। ওভাবেই চালিয়ে যান পড়াশোনা।

[caption id="attachment_20759" align="alignnone" width="1280"]মাত্র তিন ফুট উচ্চতা, ছোটবেলা থেকেই বৈষ্যমের শিকার! বাধা-বিপত্তি জয় করে IAS অফিসার এই কন্যা মাত্র তিন ফুট উচ্চতা, ছোটবেলা থেকেই বৈষ্যমের শিকার! বাধা-বিপত্তি জয় করে IAS অফিসার এই কন্যা[/caption]

আরতির বাবা রাজেন্দ্র ডোগরা ভারতীয় সেনার একজন অফিসার। আর মা কুমকুম ডোগরা একজন স্কুল শিক্ষিকা। তাঁদের স্বপ্ন ছিল মেয়ে বড় হয়ে একদিন সবার মুখ উজ্জ্বল করবে৷ সে আশা ব্যর্থ হতে দেননি আরতি। দেরাদুনের বেলহাম গার্লস স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের লেডি শ্রীরাম কলেজ থেকে ইকোনমিক্সে গ্রাজুয়েশন করেন আরতি। এরপর UPSC Indian Administrative Service এর প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন। এরপর সাফল্যের সঙ্গে পরীক্ষার গণ্ডী পেরিয়ে ২০০৬ সালে IAS অফিসার হয়ে ওঠেন আরতি।

[caption id="attachment_20760" align="alignnone" width="1280"]মাত্র তিন ফুট উচ্চতা, ছোটবেলা থেকেই বৈষ্যমের শিকার! বাধা-বিপত্তি জয় করে IAS অফিসার এই কন্যা মাত্র তিন ফুট উচ্চতা, ছোটবেলা থেকেই বৈষ্যমের শিকার! বাধা-বিপত্তি জয় করে IAS অফিসার এই কন্যা[/caption]

আরতির এই কাহিনী অনুপ্রাণিত করেছে হাজারও মানুষকে। আজ দেশের অনেক যুবতীর কাছেই আরতি এক রোল মডেল। ছেলেবেলা থেকে বৈষম্য এবং বঞ্চনার শিকার হয়েও শুধুমাত্র মানসিক জোর এবং কঠোর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে আজ তাঁর হাতের মুঠোয় সাফল্য। এই জার্নিতে সবসময় পাশে পেয়েছিলেন নিজের বাবা-মাকে। তাঁদের উৎসাহেই আজ সাফল্যের সোপানে আরতি।

[caption id="attachment_20761" align="alignnone" width="1280"]মাত্র তিন ফুট উচ্চতা, ছোটবেলা থেকেই বৈষ্যমের শিকার! বাধা-বিপত্তি জয় করে IAS অফিসার এই কন্যা মাত্র তিন ফুট উচ্চতা, ছোটবেলা থেকেই বৈষ্যমের শিকার! বাধা-বিপত্তি জয় করে IAS অফিসার এই কন্যা[/caption]

যে সমাজ তাঁকে একসময় বাঁকা নজরে দেখত, সেই সমাজই আজ তাঁকে দেয় অগাধ সম্মান। নিজের ইচ্ছেশক্তির জোরেই আজ এই জায়গায় এসে পৌঁছেছেন তিনি। এমনকি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও অত্যন্ত পছন্দের মানুষ হয়ে উঠেছেন আরতি। সবাইকে সমান দৃষ্টিভঙ্গিতেই দেখেন তিনি। নিজের কার্যজীবনে করেছেন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ। পেয়েছেন বহু পুরস্কারও। তাঁর আগামীর জন্য রইল অনেক শুভেচ্ছা।