মীরাবাঈ চানুর (Meerabai Chanu) মুকুটে আরও একটি পালক। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জিতলেন দেশের অন্যতম এই মহিলা ভারোত্তোলোক। চলতি বছরে কলম্বিয়ার বোগোতায় বসেছিল ২০২২ বিশ্ব ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপের আসর। সেখানেই অলিম্পিক্স চ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে রুপোর পদক গলায় ঝোলালেন চানু। তাঁর এই জয়ে গর্বিত গোটা দেশ।
কব্জিতে চোট নিয়েই বাজিমাত করেন মীরাবাঈ চানু। স্ন্যাচ (৮৭ কেজি) এবং ক্লিন অ্যান্ড জার্ক (১১৩ কেজি) মিলিয়ে মোট ২০০ কেজি ভারোত্তোলন করেন তিনি। আর তাতেই জিতে নেন রুপোর পদক। অন্যদিকে চিনা প্রতিযোগী হউ জিহুই যিনি অলিম্পিক্সে সোনা জিতেছিলেন, তিনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ১৯৮ কেজি ভার বহন করে জিতে নিয়েছেন ব্রোঞ্জ পদক। আর সোনার পদক জেতেন চিনের জিয়াং হুইহুয়া। স্ন্যাচে ৯৩ কেজি এবং ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১১৩ কেজি ওজন তুলে স্বর্ণপদক জিতে নেন তিনি।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের মঞ্চেই কব্জিতে চোট লাগে মীরাবাঈ চানুর। ফলে উদ্বেগে পড়ে যান ভারতীর দলের কোচ বিজয় শর্মা। তবে সেই চোট নিয়ে যেভাবে অলিম্পিক্স চ্যাম্পিয়নকে পিছনে ফেলে চানু রুপো জেতেন, তাতে গর্বিত কোচ। তিনি বলেন, “চানুর চোট কিছুটা হলেও ভাবিয়ে তুলেছিল। তবে আমরা মোটেই চাপে ছিলাম না। চানুর কাছে এটা কোনও কঠিন কাজ নয়। এর আগে বহুবার এই ধরনের ইভেন্টে নেমেছে, করে দেখিয়েছে। এই পদক ওকে আরও আত্মবিশ্বাস এনে দেবে।”
মীরাবাঈ চানুর কাছে এটি তাঁর দ্বিতীয় বিশ্ব পদক। এর আগে তিনি ২০১৭ বিশ্ব ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতায় ১৯৪ কেজি ভার উত্তোলন করে সোনা জিতেছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি এই প্রতিযোগিতায় চতুর্থ স্থান গ্রহণ করেছিলেন। এরপর চলতি বছরে জিতলেন রুপোর পদক। তাঁর এই জয় আসন্ন অলিম্পিক্সের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, ২০২৪ এর প্যারিস অলিম্পিকে যোগদান করতে হলে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে মীরাবাঈয়ের সামনে আরও দুটি প্রতিযোগিতা রয়েছে। সেগুলি হল, ২০২৩ এর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ২০২৪ এর বিশ্ব প্রতিযোগিতা। তবে সেই প্রতিযোগিতাগুলিতে নামার আগে ২০২২ এর বিশ্ব প্রতিযোগিতায় পদক জয় তাঁর আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে তুলবে।
আপনার মতামত লিখুন :