শ্রীলঙ্কার পর নিউ জিল্যান্ডকেও একদিনের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ। তৃতীয় একদিনের ম্যাচে কিউয়িদের ৯০ রানে হারিয়ে ৩–০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিল ভারত। একই সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের কাছ থেকে একদিনের ক্রিকেটে ১ নম্বর জায়গা ছিনিয়ে নিলেন রোহিত শর্মারা।
এদিন প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৮৫ রান তুলেছিল ভারত। জবাবে ৪১.২ ওভারে ২৯৫ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। কাজে এল না ডেভন কনওয়ের দুরন্ত সেঞ্চুরি। টস জিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় নিউ জিল্যান্ড। দারুণ শুরু করেন রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল। ৮৩ বলে সেঞ্চুরিতে পৌঁছে যান রোহিত। ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষবার সেঞ্চুরি করেছিলেন। এদিন সেঞ্চুরি করে স্পর্শ করলেন রিকি পন্টিংকে। একদিনের ক্রিকেটে দুজনেরি সেঞ্চুরির সংখ্যা ৩০।
রোহিতের পরপরই সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন শুভমান গিল। তাঁর সেঞ্চুরি আসে ৭২ বলে। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ওপেনিং জুটিতে ২৬ ওভারে ২১২ রান তুলে ফেলেন রোহিত ও শুভমান। সেঞ্চুরি করার পরপরই মাইকেল ব্রেসওয়েলের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান রোহিত। ৮৫ বলে তিনি করেন ১০১ রান। রোহিতের ইনিংসে রয়েছে ৯টি ৪ ও ৬টি ৬।
রোহিত আউট হয়ে যাওয়ার এক ওভার পরেই আউট শুভমান গিল। ৭৮ বলে ১১২ রান করে তিনি টিকনারের বলে ডেভন কনওয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। শুভমানের ইনিংসে রয়েছে ১৩ টি ৪ ও ৫ টি ৬।। শুভমান ও রোহিত সেঞ্চুরি পেলেও বন রান করতে ব্যর্থ বিরাট কোহলি। ২৭ বলে ৩৬ রান করে আউট হন কোহলি। অন্যদিকে, ২৪ বলে ১৭ রান করেন ঈশান কিশান। সূর্যকুমার যাদব নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ৯ বলে ১৪ রান করে তিনি আউট হন। ওয়াশিংটন সুন্দর ১৪ বলে করেন ৯ রান। ১৭ বলে ২৫ রান করে আউট হন শার্দুল ঠাকুর। ভারতকে ৩৮৫/৯ পৌঁছে দেন হার্দিক পান্ডিয়া। ৩৮ বলে ৫৪ রান করে তিনি আউট হন।
জয়ের জন্য ৩৮৬ রানের লক্ষ্য যথেষ্ট কঠিন ছিল নিউ জিল্যান্ডের কাছে। তার ওপর প্রথম ওভারেই ফিন অ্যালেনকে (০) তুলে নেন হার্দিক পান্ডিয়া। শুরুর ধাক্কা সামলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান ডেভন কনওয়ে ও হেনরি নিকোলস। এই জুটি ভালোই এগোচ্ছিল। পঞ্চদশ ওভারে নিকোলসকে (৪২ বলে ৪০) তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন কুলদীপ যাদব। এরপর নিউ জিল্যান্ডকে টানছিলেন কনওয়ে ও ড্যারিল মিচেল।
পরপর দু’বলে মিচেল (২৪) ও টম লাথামকে (০) হারিয়ে চাপে পড়ে যায় নিউ জিল্যান্ড। সেই চাপ থেকে আর বেরিয়ে আসতে পারেনি। এই দুই ব্যাটারকে তুলে নিয়ে নিউ জিল্যান্ডের মিডল অর্ডারে ভাঙন ধরান শার্দূল ঠাকুর। গ্লেন ফিলিপসকেও (৫) ফেরান তিনি। ডেভন কনওয়েকে তুলে নিয়ে নিউ জিল্যান্ডের জয়ের আশায়া জল ঢেলে দেন উমরান মালিক। ১০০ বলে ১৩৮ রান করে আউট হন কনওয়ে। মারেন ১২টি ৪ ও ৮টি ৬। শেষদিকে মাইকেল ব্রেসওয়েল (২২ বলে ২৬) ও মিচেল স্যান্টনার (২৯ বলে ৩৪) কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করেন। যদিও তা যথেষ্ট ছিল না। ভারতের হয়ে শার্দূল ঠাকুর ৪৫ রানে ৩টি ও কুলদীপ যাদব ৬২ বলে ৩টি উইকেট নেন। চাহাল নেন ২ উইকেট। এই জয়ের ফলে আইসিসি একদিনের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে চলে গেল ভারত।
আপনার মতামত লিখুন :