শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

রাজ্যে ঠাসা কর্মসূচি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের! করোনা পরিস্থিতিতে চিন্তায় বিজেপি কর্তারা

১০:৩৫ পিএম, এপ্রিল ১৫, ২০২১

রাজ্যে ঠাসা কর্মসূচি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের! করোনা পরিস্থিতিতে চিন্তায় বিজেপি কর্তারা

রাজ্যে এখনও বাকি চার দফার ভোট। এই সময় বারবার হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্যে আসছে গেরুয়া শিবিরের প্রচার করতে। কিন্তু কোভিড বিধি মেনে কিভাবে সেই প্রচার করা সম্ভব তা নিয়ে এখন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বঙ্গ বিজেপি।

আগামীকাল শুক্রবার রাত যে আসার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। এদিকে অমিত শাহ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাজনাথ সিং স্মৃতি ইরানি ও জেপি নাড্ডারও রাজ্যে এসে বেশ কয়েকটি সভা এবং পথসভা করার কথা রয়েছে। কিন্তু এই করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের এই একগুচ্ছ কর্মসূচি কিভাবে কোভিড বিধি মেনে করা যাবে তা নিয়ে এখন বড়োসড়ো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বঙ্গ বিজেপি।

সাধারণত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সভা, পথ সভার সময় প্রথম সারির এই নেতাদের সংস্পর্শে যারা আসেন তাদের স্বভাব ঠিক তিন দিন আগে অর্থাৎ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসা বাধ্যতামূলক। এবার সেই নিয়মেই আরো কড়াকড়ি করবে বলে ভাবছে গেরুয়া শিবির। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় নেতাদের সভাতে অতিরিক্ত সতর্কতা নেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে।

পাশাপাশি কর্মীদের কথা ভেবে সব জায়গায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মাস্ক রাখা হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। অন্যদিকে মাস্ক-স্যানিটাইজার ছাড়া যেন কেউ কোথাও প্রবেশ না করেন সে বিষয়েও কড়া দৃষ্টি দেওয়া হচ্ছে। তবে শুধু কর্মকর্তারাই নন সমাবেশে যোগ দিতে আসা প্রত্যেক মানুষের মুখে যেন মাছ থাকে তাও কর্মী-সমর্থকদের নিশ্চিত করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলের তরফে। অন্যদিকে জানানো হয়েছে চাঁদের মুখে মাস্ক থাকবে না তাদেরকে মাস্ক দিয়ে তারপরেই সমাবেশে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।

এদিকে আদালত করার নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছে রাজনৈতিক প্রচার এর ক্ষেত্রে পুঙ্খানুপুঙ্খ মানতে হবে কোভিড বিধি। কোন রকম ভাবে যদি করো না বিধি না মেনে প্রচার করা হয় তাহলে সেই দোষ গিয়ে বর্তাবে নির্বাচনী আধিকারিক এবং সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের উপর। এই পরিস্থিতিতে আগামীকাল সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তারা প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের একজন করে প্রতিনিধিকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। আগামীকালের ওই বৈঠকেই করোনা পরিস্থিতিতে কিভাবে ভোট প্রচার করা যায় তা নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হবে।