শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

‘বেশি চর্বি শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক, ঝড়ে গেলে শরীরের ভাল হয়’, ‘দলবদলু’দের কটাক্ষ দিলীপের

১১:০৪ এএম, জুন ১৪, ২০২১

‘বেশি চর্বি শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক, ঝড়ে গেলে শরীরের ভাল হয়’, ‘দলবদলু’দের কটাক্ষ দিলীপের

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সম্প্রতি বিজেপি নেতা মুকুল রায় দলত্যাগ করে ফের পুরনো দোল তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে ফের একবার তৃণমূলে ফিরেছেন শুভ্রাংশু রায়ও। শুধু তাই নয়, মুকুল রায়ের দলে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে বিজেপি থেকে আরও বেশ কিছু নেতা, বিধায়কের দলে ফেরার জল্পনা শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। এই দলে রয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও।

সম্প্রতি বিজেপির এই নেতাকে দলের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেসুরো হতেও দেখা গিয়েছে। দলের সমালোচনা করে, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে দেখা গিয়েছিল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই সময় থেকেই তাঁকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে যায়। তার উপর আবার সেই জল্পনা উসকে দিয়ে, শনিবার বিকেলে সাড়ে ৫ টা নাগাদ কুণাল ঘোষের বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন ডোমজুড়ের বিজেপি প্রার্থী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ই নন, দলত্যাগীদের তালিকা ক্রমশ বড় হচ্ছে বলেই জল্পনা। সেই দলত্যাগীদের সম্পর্কে ফের একবার মুখ খুললেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁদের উদ্দেশ্যে রাজ্য বিজেপির সভাপতির স্পষ্ট বার্তা, বাড়তি চর্বি ঝড়ে গেলে, তা শরীরের জন্য ভাল।

উল্লেখ্য, রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে, তৃণমূলের পাশাপাশি অন্য বিরোধী দল থেকেও বহু নেতা-নেত্রী ঝাঁকে ঝাঁকে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া, প্রবীর ঘোষাল, সোনালী গুহ-সহ ছোট-বড়-মাঝারি সব মাপেরই নেতা-নেত্রী মিলিয়ে বেশ একটা বড় অংশ বিজেপিতে যোগ দেয়।

তবে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের বেশিরভাগেরই মোহভঙ্গ ঘটে। ক্রমশ দলবদলু এবং ‘বেসুরো’দের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তবে, মুকুল রায়ের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই বেসুরো হাওয়া যেন আরও জোরালো হয়েছে। সেই সমস্ত দলত্যাগী এবং বেসুরোদের ফের একবার কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

সোমবার তিনি তাঁদের উদ্দেশে কটাক্ষ করে বলেন যে, ‘শরীরে হঠাৎ চর্বি জমে গেলে, শরীরটা দেখতে খুব বড়সড় লাগে। কিন্তু আসলে সেটা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। বিজেপির ক্ষেত্রেও তাই। এই চর্বি ঝড়ে গেলে, তা শরীরের ভাল করবে।’ অন্যদিকে, এই মন্তব্যের পাশাপাশি দলত্যাগীদের আরও কখনও ভবিষ্যতে বিজেপিতে নেওয়া হবে কিনা, সেই প্রশ্নের জবাবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কোর্টে বল ঠেলে দিয়েছেন।

সোমবার দলবদলুদের কটাক্ষ করার পাশাপাশি করোনা বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হবে কিনা, সেই বিষয়েও মন্তব্য করেন। উল্লেখ্য, করোনা আবহে রাজ্য সরকার যে বিধিনিষেধ চালু করেছিল, আগামীকালই তার শেষ দিন। কালকের পর, সেই বিধিনিষেধ তোলা হবে নাকি জারি থাকবে, সেই প্রশ্নই এখন সকলের মনে। এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতির বক্তব্য, ‘রাজ্য সংক্রমণের হার কমেছে। অর্থনীতিতে ব্যাপক চাপ পড়েছে। এই অবস্থায় ঠিক কী করা উচিত, সেটা সকলের সঙ্গে আলোচনা করে, রাজ্যকে ঠিক করতে হবে।’