বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে আরজিকরে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের নিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত রাজ্যের

০৯:৫৬ পিএম, অক্টোবর ১৮, ২০২১

পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে আরজিকরে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের নিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত রাজ্যের
প্রায় ১৪ দিন ধরে অনশন আন্দোলন করছে আরজিকর হাসপাতালের হবু চিকিৎসকরা। গতকালের বৈঠকেও মেলেনি সমাধান সূত্র। তবে এবার আন্দোলনকারীদের নিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত নিতে পারে নবান্ন। জানা গিয়েছে, চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে আর জি করে অতিমারী আইন প্রয়োগ করছে রাজ্য সরকার। অধ্যক্ষের পদত্যাগ চেয়ে অনশনে বসেছেন আরজিকর হাসপাতালের হবু চিকিৎসকরা। আর হাউজস্টাফ ইন্টার্নদের একাংশের এই আন্দোলনের জেরে নাকাল পরিষেবা। তবে এর দায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উপরই চাপিয়েছে আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। এমনকি আন্দোলন চলবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। রাজ্যের তরফে এদিন সাফ জানিয়ে দেওয়া হল, হাসপাতালে রোগী পরিষেবা কোনওভাবেই বিঘ্নিত হতে দেওয়া যাবে না। আউটডোর-ইনডোর পরিষেবা মসৃণ রাখতে হবে দায়িত্বপ্রাপ্তদের। যাঁরা কাজে আসছেন না, তাঁদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহে রাখতে হবে। পাশাপাশি জানিয়ে দেওয়া হয়, যে চিকিৎসকরা কাজে অনুপস্থিত থাকবেন তাঁদের ইন্টার্নশিপের মেয়াদ একদিন করে বেড়ে যাবে। সেই অনুযায়ী বিক্ষোভকারী ১৯২ জন জুনিয়র ডাক্তারদের ইন্টার্নশিপের মেয়াদ ১৩ দিন বেড়ে গিয়েছে। তবু নিজেদের অবস্থানে অনড় আন্দোলনরত ছাত্ররা। তবে, আন্দোলনরত পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনার দরজা খোলা আছে বলেও জানানো হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে। অন্যদিকে হাসপাতালের পরিষেবা সচল রাখতে এদিন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে হাসপাতালের ডেপুটি সুপার ও মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপ্যাল রাউন্ড দিয়েছেন। জট কাটাতে এদিন স্বাস্থ্যভবনে স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন স্বাস্থ্য দফতরের তৈরি মেন্টর গ্রুপের সদস্যরা। তবে আজকের বৈঠকেও মেলেনি সমাধান সূত্র। তবে পরিষেবা সচল রাখতে বদ্ধ পরিকর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, রোগীদের হয়রানি ঠেকাতে আউটডোরে আরএমওদের উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামিকাল ৩৮ বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে ফের বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। রোগী ফেরানো রুখতেও কড়া অবস্থান নিয়েছে স্বাস্থ্যভবন। রোগী ফেরালে হেল্পলাইনে ফোন করে অভিযোগ জানানো যাবে। কিন্তু এই আন্দোলনের জেরে নাকাল হতে হচ্ছে রোগীদের। অসহায় হয়ে একটু চিকিৎসার জন্য কাতর আর্তি জানাচ্ছেন রোগীর পরিবারের সদস্যরা। তবে এই বিষয়ে নিজেদের ঘাড়ে দায় নিচ্ছে না আন্দোলনকারীরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, "রোগী ভোগান্তির দায় কর্তৃপক্ষের। আমরা মানসিক ভাবে সুস্থ না হলে রোগী পরিষেবা দেব কী ভাবে?"