বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

বিমল গুরুঙ্গের বিরুদ্ধে অধিকাংশ মামলা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করল রাজ্য সরকার

০৯:৪৭ পিএম, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১

বিমল গুরুঙ্গের বিরুদ্ধে অধিকাংশ মামলা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করল রাজ্য সরকার
পাহাড়ে একদা প্রতাপশালী নেতা বিমল গুরুং। রাজ্যের আইন দফতর সূত্রের খবর, তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অধিকাংশ মামলা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করল রাজ্য সরকার। রাজ্যে ভোটের আগে এমনিতেই যথেষ্ট স্বস্তিতে আছেন গুরুং। সূত্রের খবর, বছর কয়েক আগে দার্জিলিংয়ে বিভিন্ন আদালত বিমল গুরুং ও রোশন গিরির বিরুদ্ধে থাকা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, অগ্নিসংযোগ, বেআইনি জমায়েত, জাতীয় সড়ক অবরোধ-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রয়েছে। সেগুলি পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার হবে। এ রকম মামলার সংখ্যা কমবেশি ৭০। জানা গিয়েছে, এই মর্মে সরকারি নোটিস দিন দুই আগে রাজ্যের বিভিন্ন আদালতে পৌঁছেছিল। যেসব আইনজীবী গুরুংয়ের বিরোধিতায় মামলা লড়ছিলেন, তাঁদের কাছেও সরকারি বিজ্ঞপ্তি পৌঁছে গিয়েছিল। আর শনিবার থেকে প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল। তবে গুরুংয়ের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা এখনও চলবে। বিষয়টি নিয়ে শিলিগুড়ির বিধায়ক তথা বাম নেতা অশোক ভট্টাচার্য তীব্র আপত্তি করেছেন। তিনি মনে করেন, তৃণমূল রাজ্য সরকারকে ব্যবহার করে যেভাবে রাজনীতি করতে চাইছে, তা ভয়ংকর ধারার প্রচলন করছে। দেশীয় সার্বভৌমত্ব প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। বিরোধী মহলেও রয়েছে প্রতিবাদ। প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সুজয় ঘটক মনে করেন, তৃণমূলের কাছে রাজনীতি দেশের নিরাপত্তা চেয়ে অগ্রাধিকার লাভ করেছে যা ন্যক্কারজনক এবং মেনে নেওয়া যায় না। ছত্রধর মাহাতো এবং বিমল গুরুং এর মতো লোককে রাজনৈতিক ফায়দার জন্য ক্লিনচিট দেওয়া উচিত নয়। বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক রথীন বসু তৃণমূল কংগ্রেসকে অভিযুক্ত করে বলেন, তৃণমূলের কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। নিজেরাই দেশদ্রোহিতার মামলা দিয়ে, নিজেরাই তা তুলে নেওয়ার আর্জি জানাচ্ছে। এর চেয়ে লজ্জার কিছু হয় না। মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা তলানিতে চলে আসার কারণেই একশোর কম আসনে সীমাবদ্ধ থাকবে তৃণমূল। তবে এ বিষয়ে তৃণমূলের তরফে কেউই কোনও মন্তব্য করতে চাননি।