তিনি ছিলেন দর্শনের শিক্ষক। পাশাপাশি স্ক্রিপ্ট লেখার কাজেও বিশেষ পারদর্শী ছিলেন। নাট্যজগতের সঙ্গেও ছিল তাঁর অবাধ যোগাযোগ। কিন্তু সেসব যেন আজ সুদূর অতীত। গ্লুকোমার কারণে তিনি আজ প্রায় দৃষ্টিহীন। তাই সব কাজ হারিয়ে পেটের তাগিদে পথে নামতে হয়েছে তাঁকে। ১০ বছরের ছেলে এবং স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় ঘুরে মিষ্টি বিক্রি করেই বর্তমানে দিন গুজরান হয় তাঁর।
নাম সমীরণ সিকদার। অল্পবয়স থেকেই চোখের সমস্যা ছিল। কিন্তু হাল ছাড়েননি তিনি। পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছিলেন। এরপর প্রায় ১৮ বছর ধরে গৃহশিক্ষকতা করেন সমীরণবাবু। উচ্চমাধ্যমিকে দর্শন, ইতিহাস এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়ানোর পাশাপাশি মাধ্যমিকের পড়ুয়াদের অঙ্ক শেখাতেন তিনি। পাশাপাশি নাট্যজগতের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। একাধিক স্ক্রিপ্টও লিখেছেন। বেশ ভালোই চলছিল সব কিছু। কিন্তু তারপরই নিয়তির অমোঘ পরিহাসের শিকার হলেন সমীরণবাবু।
আচমকাই ধরা পড়ল গ্লুকোমা। সেই কারণে ধীরে ধীরে কমতে শুরু করল চোখের দৃষ্টিশক্তি। একসময় বাঁ চোখের প্রায় ৯০% দৃষ্টিশক্তিই চলে যায় তাঁর। তাই কাজের জায়গাতেও সীমাবদ্ধতা আসতে শুরু করে। চিকিৎসার জন্য ভেলোরে গিয়েও কোনও লাভ হয়নি তাঁর। চিকিৎসকরা সাফ জানিয়ে দেন চোখ আর ঠিক হবে না। অগত্যা পেটের দায়ে সংসার চালাতে পথে নামতে হয় তাঁকে। বর্তমানে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে রসগোল্লা, লেডিকেনি ইত্যাদি মিষ্টি এবং ঘি-পনীর বিক্রি করেন সমীরণবাবু৷ সঙ্গে থাকে ১০ বছরের ছোট্ট ছেলে এবং স্ত্রী। এছাড়াও পরিবারে রয়েছে তাঁর অসুস্থ মা। সেই মিষ্টি কেউ কেনেন, কেউ বা কেনেন না। তবু হাল না ছেড়েই এগিয়ে যান এই প্রাক্তন শিক্ষক।
https://youtu.be/c6lV7E67cvcসমীরণবাবুর হাল না ছাড়ার এই কাহিনী সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরে 'হ্যাংলাবাজ' নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে সাহায্য করার আবেদনও রাখে 'হ্যাংলাবাজ'। নেটিজেনদের সাধ্যমতো সাহায্যে অনেকটাই সুরাহা হতে পারে সমীরণবাবুর পরিবারের। চাইলে আপনারাও তাঁর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন। নীচের দেওয়া তথ্যগুলিতে যোগাযোগ করে অর্থ সাহায্য পাঠাতে পারেন- Samiran Sikdar Contact- +919674569917 Bank Account number 250510100020560 IFSC CODE ANDB0002505
https://www.facebook.com/arpan.goswami.31/videos/1890972217730161