শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

কেরালায় স্কুল খুলতেই করোনা আক্রান্ত দশম শ্রেণির ২০০ পড়ুয়া! কমছে না ভাইরাসের প্রভাব

০১:৪৬ এএম, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২১

কেরালায় স্কুল খুলতেই করোনা আক্রান্ত দশম শ্রেণির ২০০ পড়ুয়া! কমছে না ভাইরাসের প্রভাব
করোনা প্রতিরোধে এই কিছুদিন আগেও দেশ তথা সারা বিশ্বে নজির গড়েছিল কেরালা মডেল। তবে বর্তমানে সেই কেরালাই ডুবে গিয়েছে করোনার ভয়াল গ্রাসে! তা থেকে মুক্তির রাস্তা এখনও খুঁজে পায়নি সে রাজ্য। সম্প্রতি কেরালায় স্কুল চালু করার পরই নতুন করে করোনা আক্রান্ত হলো দশম শ্রেণির প্রায় ২০০ জন ছাত্র। করোনার প্রভাব যে তিলমাত্র কমেনি সেখানে, এই সাম্প্রতিক ঘটনাই তার প্রমাণ। কেরালার মালাপ্পুরম জেলার পাশাপাশি দু'টি স্কুলের দশম শ্রেণির ১৯২ জন পড়ুয়া একসঙ্গে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পাননি স্কুলের কর্মচারীরাও। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৭২ জন স্কুলকর্মী। দিন কয়েক আগেই কেরালায় দশম-দ্বাদশ শ্রেণির উদ্দেশ্যে চালু করা হয়েছে স্কুল। তারপরই মারণ ভাইরাসে কবলে পড়ল পড়ুয়ারা। এই প্রসঙ্গে মালাপ্পুরমের জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, "একজন ছাত্রের শরীরে করোনার খোঁজ মিলতেই বাকি পড়ুয়া ও কর্মীদেরও টেস্ট করা হয়েছিল। এমনকি পাশাপাশি দুটি স্কুলের পড়ুয়াদেরও করোনা টেস্ট করা হয়েছিল। তবে কীভাবে এতজনের শরীরে হানা দিল এই মারণ ভাইরাস, তা যথাসম্ভব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।" কেরালায় বর্তমান আক্রান্তের মোট সংখ্যা প্রায় দশ লক্ষ। গত দুদিনে সে রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৬ হাজার মানুষ, মৃতের সংখ্যা ১৯। গত বছর জানুয়ারি মাসে দেশের প্রথম করোনা রোগীর খোঁজ মিলেছিল এই কেরালাতেই। তারপর দেখে রোগ প্রতিরোধে বেশ সাফল্যের মুখ দেখেছিল এই রাজ্য। তবে সম্প্রতি করোনার অন্ধকারে তলিয়ে গিয়েছে তা। দিনের পর দিন লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা৷ কারণ হিসাবে সাধারণ মানুষের অসতর্কতা এবং সচেতনতার অভাবকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে পশ্চিমবঙ্গেও খুলতে চলেছে স্কুল। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই ৫২ পাতার এক গাইডলাইন প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গ স্কুলশিক্ষা দফতর। স্কুল খুললেই নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা এবং তাদের সঙ্গে শিক্ষক এবং অভিভাবকরা ঠিক কী কী দায়িত্ব পালন করবেন, বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছে সেই গাইডলাইনে। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন ও শিক্ষা প্রশাসকদেরও সচেতন থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে স্কুল স্যানিটাইজ, স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ এবং পরিচ্ছন্নতার বিষয়েও কড়া নজর রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্কুলের প্রধানদের।