শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

এক অন্য ‘মর্দানি’র গল্প! ‘ধর্ষক’ ধরতে ফেসবুকে ফাঁদ, চ্যাটিং-ডেটিংয়েই কাজ হাসিল তরুণী সাব ইন্সপেক্টরের!

০৯:১০ পিএম, আগস্ট ২, ২০২১

এক অন্য ‘মর্দানি’র গল্প! ‘ধর্ষক’ ধরতে ফেসবুকে ফাঁদ, চ্যাটিং-ডেটিংয়েই কাজ হাসিল তরুণী সাব ইন্সপেক্টরের!

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রানি মুখার্জি অভিনীত ‘মর্দানি’ সিনেমাটি মনে আছে নিশ্চয়ই। এক সাহসী পুলিশ অফিসারের অপরাধী ধরার কাহিনী। অপরাধীর চোখে চোখ রেখে, মোকাবিলা করার কাহিনী। এও তেমনই এক ‘মর্দানি’র কাহিনী। সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্বের ফাঁদ পেতে, ধর্ষণে অভিযুক্তকে ধরলেন এক তরুণী সাব-ইন্সপেক্টর।

দিল্লির ডাবরি থানায় কর্মরত সাব-ইন্সপেক্টর প্রিয়াঙ্কা সাইনি। মহিলা সেলের সদস্য তিনি। প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ, বন্ধুত্বের ফাঁদ পেতে সম্পর্কে এগোনো, রেস্তোঁরায় ‘ডেট’-এর প্রস্তাব। একের পর এক ধাপে ধাপে পা ফেলে, শেষে হাতে পরালেন কড়া। দিল্লির প্রিয়াঙ্কার এই কাণ্ডই এই মুহূর্তে শোরগোল ফেলে দিয়েছে।

জানা গিয়েছে, দিল্লি পুলিশের কাছে গত ৩০ জুলাই একটি ধর্ষণের অভিযোগ আসে হাসপাতাল থেকে। যে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে, সে বর্তমানে সন্তানসম্ভবা। এরপরেই তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে যে, আকাশ নামে এক যুবক এই ঘটনায় অভিযুক্ত।

এরপর এই ঘটনার তদন্তে দলে যুক্ত হন প্রিয়াঙ্কা। এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে সাব-ইন্সপেক্টর প্রিয়াঙ্কা সাইনি জানিয়েছেন, ‘হাসপাতাল থেকে ফোন করে ধর্ষণের অভিযোগ জানানো হয়। এফআইআর দায়ের করা হয়। এরপরেই ফেসবুকে আমি অ্যাকাউন্ট তৈরি করি এবং অভিযুক্ত ছেলেটির খোঁজ শুরু করি। জায়গা নির্বাচন করে যতজন আকাশ পেয়েছি, তাঁদের ফ্রেন্ড রিক্যুয়েস্ট পাঠিয়ে গিয়েছি। অনেককে মেসেজ করেছিলাম। একমাত্র ওই ছেলেটি জবাব দিয়েছিল। আমাদের মধ্যে ফোন নম্বর দেওয়া-নেওয়া হয়। ভিডিও চ্যাটও হয়।’ এরপর প্রিয়াঙ্কা ছেলেটির সঙ্গে দেখা করেন এবং শ্রী মাতা মন্দির এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

https://twitter.com/ANI/status/1422124350455517184 https://twitter.com/ANI/status/1422124353366286347 https://twitter.com/ANI/status/1422173822690631684

ছেলেটির সঙ্গে দেখা করার পর যা যা ঘটে, তাও কোনও সিনেমার থেকে কম নয়। ছেলেটির সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর, সেদিন সারাদিন ধরে দু'জনের কথা হয় চ্যাটের মাধ্যমে। পরের দিনই অভিযুক্তকে দেখা করার কথা বলেন প্রিয়াঙ্কা। তবে, অভিযুক্ত সম্ভবত কিছুটা আঁচ করতে পেরেছিল। তাই বারবার জায়গা বদলাতে থাকে বলে জানা গিয়েছে। তবে, শেষরক্ষা করতে পারেনি। শেষে শ্রী মাতা মন্দির এলাকায় সে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে দেখা করতেই, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

জেরাতে ওই যুবক জানিয়েছে, একটি চুড়ির দোকানে কাজ করে সে। গত দেড় বছরে একাধিক মেয়েকে নিজের জালে জড়িয়েছে এই অভিযুক্ত। তবে প্রিয়াঙ্কা সাইনির কাছে শেষ পর্যন্ত তার সব জারিজুরি শেষ।