শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

মুকুলের বিরুদ্ধে আরও কড়া হলেন শুভেন্দু! বিজেপিত্যাগী নেতার বিধায়ক পদ খারিজ করতে তড়িঘড়ি সারলেন বৈঠক

০৫:২১ পিএম, জুন ১৭, ২০২১

মুকুলের বিরুদ্ধে আরও কড়া হলেন শুভেন্দু! বিজেপিত্যাগী নেতার বিধায়ক পদ খারিজ করতে তড়িঘড়ি সারলেন বৈঠক

সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে তৃণমূলেই প্রত্যাবর্তন করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা মুকুল রায়। ছেলে শুভ্রাংশু রায়কে সঙ্গে নিয়ে গত শুক্রবারই তৃণমূল ভবনে দলে ফের যোগদান করেন তিনি। এরপরই তাঁর দলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছিল জোর তরজা। এবার মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে জোর তৎপর হয়ে উঠলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপিত্যাগী নেতার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে চেয়ে তড়িঘড়ি সারলেন বৈঠক।

আজ বিধানসভার বিরোধী দলনেতার কক্ষে আইনজীবী ও দলের দুই বিধায়কের সঙ্গে বৈঠক সারেন শুভেন্দু অধিকারী। জানা গিয়েছে, মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের জন্য আইনি পথের দারস্থই হতে চলেছে রাজ্য বিজেপি। বিধায়ক পদ খারিজের আবেদনপত্রও তৈরি হয়ে গিয়েছে। সম্ভবত আজই বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সেই চিঠি দিয়ে মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের অনুরোধ জানাতে চলেছে রাজ্য বিজেপি৷ শুভেন্দুর বৈঠকে আপাতত এই সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হয়েছে।

উল্লেখ্য, গেরুয়া শিবির ছেড়ে ঘাসফুলে পা রাখা মাত্রই মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহত। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হুঁশিয়ারি দিলেন, গত মঙ্গলবারের মধ্যে মুকুল রায় পদত্যাগ না করলে বুধবারই বিধানসভার অধ্যক্ষর কাছে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হবে। তবে এসব শুনেও ইস্তফা দেননি মুকুল। তাঁর কথায়, "আইনে যা আছে তাই মেনে চলা হবে।" ফলে মুকুলের বিরুদ্ধে এবার কড়া পদক্ষেপই নিতে চলেছে রাজ্য বিজেপি।

প্রসঙ্গত, মুকুলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। তিনি জানিয়েছিলেন, অভিজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে উদাহরণ গড়ে তুলতে মুকুল রায়ের উচিৎ পদত্যাগ করা। এ নিয়ে মুকুলকে দিলীপের বার্তা ছিল, "দল ছেড়েছেন। বিধানসভার সদস্যপদও ছাড়ুন।" বিজেপির রাজ্য সভাপতি আরও পরামর্শ দিয়েছেন, "উনি সিনিয়র নেতা। ওঁকে বিশ্বাস-ভরসা করে ভোট দিয়েছিলেন মানুষ। কিন্তু উনি দল ছেড়েছেন। তাই উদাহরণ হিসাবে ওঁর বিধানসভার সদস্যপদও ছেড়ে দেওয়া উচিৎ।