শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সন্তান প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তার দায়িত্ব বাবার! সুপ্রিম নির্দেশ

০১:০৩ পিএম, ডিসেম্বর ২, ২০২১

সন্তান প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তার দায়িত্ব বাবার! সুপ্রিম নির্দেশ

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সন্তানের দায়িত্ব কার! এনিয়ে বড় রায় দিল দেশের শীর্ষ আদালত। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ থাকতেই পারে। কিন্তু সন্তান প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত, তার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বাবার। বুধবার এমনটাই নির্দেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত।

স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে প্রায়শই নানা কারণে অশান্তি এবং বিবাদ হয়ে থাকে। আর এই বিবাদই অনেক সময় বিবাহ বিচ্ছেদের পর্যায়েও পৌঁছে যায়। তখন স্বাভাবিকভাবেই সন্তানের উপরে এর প্রভাব পড়ে। আর বাবা-মার বিবাদের কারণে যাতে শিশুর বিকাশে কোনও বাধার সৃষ্টি না হয়, তার জন্যই দেশের শীর্ষ আদালতের এই সিদ্ধান্ত।

বুধবার সন্তানের রক্ষণাবেক্ষণ কার? এই সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ হলেও, তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ পর্যন্ত গড়ালেও, সন্তানের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বাবাকেই নিতে হবে। উক্ত মামলায় এক সেনাকর্তা এবং তাঁর স্ত্রী ২০১১ সাল থেকেই আলাদা থাকছেন। এদিকে স্ত্রী আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী নন। এই পরিস্থিতিতে সন্তানের দায়িত্ব কার? এই মামলায় বিচারপতি এম আর শাহ এবং এএস বোপান্নার বেঞ্চ জানিয়েছে যে, এক্ষেত্রে, ছেলে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তার রক্ষণাবেক্ষণের দায় এবং দায়িত্ব থেকে সেনা কর্তাকে অব্যাহতি দেওয়া যাবে না।

আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ যাই হোক না কেন, তার জন্য সন্তানকে কষ্ট দেওয়া উচিত নয়। সন্তান প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত পিতার দায়িত্ব ও সন্তানের যত্ন নেওয়া অব্যাহত রাখতে হবে। এবিষয়ে বিতর্ক হতে পারে না। ’

শীর্ষ আদালত উল্লেখ করেছে যে, মা কিছুই উপার্জন করছেন না এবং তিনি জয়পুরে পিতামাতার সঙ্গে থাকছেন। তাই, তাঁর ছেলের শিক্ষা এবং অন্যান্য খরচ-সহ তার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যুক্তিসঙ্গত এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন। যা পিতাকেই বহন করতে হবে। স্ত্রী এবং স্বামীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় যাই হোক না কেন। আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, ১৫ নভেম্বর, ২০১২-এ সেনা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পাস করা আদেশের ভিত্তিতে যে পরিমাণ অর্থ ওই সেনা কর্তার স্ত্রীকে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল, তাও ওই ব্যক্তি ডিসেম্বর ২০১৯ থেকে বন্ধ করে দিয়েছে। উল্লেখ্য, ওই সেনা কর্তার বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রী সেনা কর্তৃপক্ষের কাছে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক এবং আরও একাধিক অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।

সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছে যে, উক্ত সেনা কর্তাকে মাসে ৫০, ০০০ টাকা দিতে হবে ছেলের ভরণপোষণের জন্য। ২০১৯ সাল থেকে বকেয়া ৫০,০০০ প্রতি মাসে ডিসেম্বর অর্থাৎ ২০১৯ থেকে নভেম্বর ২০২১ গতকালের পর থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।

পাশাপাশি বেঞ্চ এও বলেছে যে, ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে প্রতি মাসে ৫০,০০০ টাকা করে স্বামীর বেতন থেকে কেটে নেওয়া হবে, যা সরাসরি মায়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হবে। এর জন্য আবেদনকারী-মাকে এক সপ্তাহের মধ্যে সেনা কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাঙ্কের বিশদ তথ্য প্রদান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।