বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

আবার কি বড়সড় নাশকতার ছক? সাম্বা সেক্টরে আকাশে সন্দেহজনক ড্রোনের ঘোরাঘুরি

০১:০২ পিএম, জুলাই ৩০, ২০২১

আবার কি বড়সড় নাশকতার ছক? সাম্বা সেক্টরে আকাশে সন্দেহজনক ড্রোনের ঘোরাঘুরি

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আবারও উপত্যকায় ড্রোন আতঙ্ক ফিরে এল। ফের একবার সাম্বা সেক্টরে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেল ড্রোনকে।

সেনা সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে সীমান্তের কাছে সাম্বা সেক্টরে তিন জায়গায় বেশ কয়েকটি সন্দেহজনক আলো আকাশে দেখা যায়। সেই আলো লক্ষ্য করে গুলি চালান সেনা জওয়ানরা। এরপরই সেখান থেকে দূরে সরে যায় আলোগুলো। পাক সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় ড্রোনের গতিবিধি ধরা পড়ায়, আরও সতর্ক ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী। সীমান্তরক্ষী বাহিনী BSF- এর পক্ষ থেকে এক বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে যে, সাম্বা সেক্টরে পাক সীমান্তের কাছে বেশ কয়েকটি উড়ন্ত আলো দেখা যায়। সেগুলিকে নিশানা করে গুলি চালান জওয়ানরা। এরপরেই সেগুলি উধাও হয়ে যায়।

https://twitter.com/ANI/status/1420938576804548611

ওইগুলো যে ড্রোনের আলো ছিল, তা নিশ্চিত করেছেন এসএসপি সাম্বা রাজেশ শর্মা। তিনি বলেন, সাম্বা সেক্টরের একাধিক এলাকায় এই ড্রোনের ঘোরাঘুরি নজরে এসেছে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। গত ১৬ জুলাই রামগড় এলাকা, সাম্বা সেক্টর, হিরানর সেক্টর এবং মিরান সাহিব এলাকায় চারটি ড্রোন ধরা পড়ে। সূত্রের খবর, অ্যান্টি-ড্রোন ব়্যাডারে ড্রোনগুলো ধরা পড়ার পরে, সেগুলোকে ধ্বংস করেন জওয়ানরা। নিয়ন্ত্রণ রেখার খুব কাছে অবস্থিত ওই চারটি এলাকায় সন্দেহভাজন ৪টি ড্রোন ধরা পড়ায়, পাকিস্তান থেকে ড্রোনগুলো কন্ট্রোল করা হচ্ছিল বলে একপ্রকার নিশ্চিত প্রশাসন।

এই নিয়ে বেশ কয়েকবার ভারতীয় সেনাঘাঁটির আশেপাশে ড্রোনের সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ করা গেছে। উল্লেখ্য, গত মাসে জম্মু এয়ারফোর্স স্টেশনে ড্রোন হামলার পর, এবিষয়ে সতর্ক ভারতীয় সেনাবাহিনী। সেনা সূত্রে খবর, জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্তের ওপার থেকে এভাবে ক্রমাগত ড্রোন হামলার পিছনে বড়সড় নাশকতার ছক বা ষড়যন্ত্র রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গত মাসে পাকিস্তান সীমান্তে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে, জম্মু গিয়েছিলেন জেনারেল বিপিন রাওয়াত। সেখানে তিনি ভারতীয় সেনার একাধিক ঘাঁটি পরিদর্শন করেন।

অন্যদিকে, এইভাবে ড্রোন হামলার পিছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে বলে আগেই জানিয়েছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের ডিজিপি দিলবাগ সিং। তাঁর বক্তব্য, জম্মুর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় জঙ্গি সংগঠনগুলিকে মদত দিচ্ছে পাক অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি। নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে কাশ্মীরে জাল টাকা, হাতিয়ার ও বিস্ফোরক পৌঁছে দিতে ড্রোন ব্যবহার করছে সন্ত্রাসবাদীরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ হওয়ার পর থেকেই উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বেড়ে গিয়েছে। ভারতীয় সেনার সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে না গিয়ে, বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে মদত দিয়ে ছায়াযুদ্ধ চালাচ্ছে পাকিস্তান। তবে, এই পরিস্থিতিতে ভারত চুপ করে বসে নেই। সন্ত্রাস দমনে ভারতও সেনা অভিযান বাড়িয়ে দিয়েছে।