বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সংসদে শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে সোমবার সাসপেন্ড করা হয়েছিল ১২ জন সাংসদকে। মঙ্গলবার সকালে এই শাস্তি বা সাসপেনশনের প্রতিবাদে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসে পড়লেন সাসপেন্ড হওয়া দুই তৃণমূল সাংসদ শান্তা ছেত্রী এবং দোলা সেন। সাসপেনশন তুলে নেওয়ার দাবিতেই এই ধর্না।
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায় জানিয়েছেন, এই ধর্নায় যোগ দেওয়ার জন্য অন্য দলের সাংসদদেরও আহ্বান জানানো হবে। সাসপেনশন তুলে নেওয়ার দাবিতেই এই ধর্না শুরু হলেও, বিশৃঙ্খলা তৈরির দায়ে সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের সাসপেনশন তুলে নিতে একেবারেই রাজি নন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান।
https://twitter.com/ANI/status/1465566045263986692গতকাল দুপুরে হঠাৎ করেই তৃণমূলের দু'জন-সহ বিরোধী দলের ১০ সাংসদ -কে সাসপেন্ড করা হয়। এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিরোধী শিবির। কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। সেই যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করে কংগ্রেস, ডিএমকে, সমাজবাদি পার্টি, এনসিপি, আরজেডি, সিপিএম, সিপিআই, আইইউএমএল, এলজেডি, জেডিএস, এমডিএমকে, টিআরএস এবং আম আদমি পার্টি। শাস্তির কোপে পড়া ১২ জন সাংসদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেসের ছ'জন, সিপিএমের এলামারান করিম, শিবসেনার প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী ও অনিল দেশাই, সিপিআইয়ের বিনয় বিশ্বম। তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন দোলা সেন এবং শান্তা ছেত্রী। রাজ্যসভার তরফে এই ১২ জন সাংসদের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষের পদকে অসম্মান করা, সংসদীয় আইন অগ্রাহ্য করে সংসদের কাজে অসুবিধার সৃষ্টি করা, দুর্ব্যবহার করা, হিংসাত্মক আচরণ করা ইত্যাদি একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে।
ফোনে আড়ি পাতা কাণ্ড এবং কৃষি আইন নিয়ে আলোচনা চেয়ে বাদল অধিবেশনে সংসদে হুলুস্থুলু কাণ্ড বাঁধিয়েছিলেন বিরোধী দলের সাংসদরা৷ বাদল অধিবেশনের শেষ দিন, ১১ অগস্ট পেগাসাস ইস্যুতে রাজ্যসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তাঁরা। সেই সময় থেকেই ওই সাংসদদের শাস্তির দাবি জানিয়ে আসছিলেন বিজেপি সাংসদরা। সোমবার শীতকালীন অধিবেশন শুরু হতেই বিক্ষোভকারী ১২ সাংসদের শাস্তির দাবি জানায় সরকারপক্ষ।