শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

মুকুল রায় কি আদৌ অসুস্থ? বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দু অধিকারীর

০৯:১৫ পিএম, সেপ্টেম্বর ১, ২০২১

মুকুল রায় কি আদৌ অসুস্থ? বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দু অধিকারীর

নিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ একুশের নির্বাচনের পর, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মুকুল রায়। যদিও তিনি বিধায়ক পদ ছাড়েননি। এদিকে, দলত্যাগ বিরোধী আইনের আওতায় দলের বিধায়ক মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ করার আবেদন আগেই জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই নিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে শুনানি হয়েছে একাধিকবার। শুভেন্দু অধিকারী দুবার উপস্থিত থাকলেও, অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে, অনুপস্থিত ছিলেন মুকুল রায়।

এবার এই পরিস্থিতিতে এদিন চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বললেন, দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর হওয়ার আশঙ্কায় মুকুল রায়কে অসুস্থ সাজিয়ে রাখতে চাইছে তৃণমূল। এমনটাই দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। আবার মুকুল রায় প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আক্ষেপের সুরে বলেন যে, ‘আমি ভরসা করেছিলাম। মুকুল রায়ের মতো নেতাকে আমরাই প্রথম জয়ের স্বাদ দিয়েছিলাম। কোথাও আমি ভুল প্রমাণিত হলাম।’

উল্লেখ্য, মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ মামলার নিষ্পত্তি হয়নি এখনও। অসুস্থতার কথা জানিয়ে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছিলেন মুকুল রায়, চিঠিতে তিনি এক মাসের সময় চেয়েছিলেন। যা মঞ্জুর করেছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৫ সেপ্টেম্বর ফের শুনানি হবে।

এদিকে, এই মুহূর্তে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার হিড়িক পড়েছে। সপ্তাহের শুরুতেই সোমবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস পদ্মশিবির ত্যাগ করে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন। গতকাল, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও কাকলি ঘোষ দস্তিদারের উপস্থিতিতে দলের পতাকা হাতে তুলে নেন বিশ্বজিৎ। বলেন, ‘একটা পরিস্থিতিতে ভুল করেছিলাম। যা হওয়ার ছিল না। বাংলার ঘরে ঘরে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় পৌঁছে গিয়েছেন। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প নেই। বিজেপিতে কাজের পরিবেশ নেই। বহিরাগত নেতৃত্বে উপর মানুষ আকৃষ্ট হন না।’

বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ ও বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের দলবদলের পরই এদিন বাঁকুড়া, বনগাঁর মতো সাংগঠনিক জেলার বিধায়কদের নিয়ে বিজেপির রাজ্য দফতরে বৈঠকে বসেন দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীরা। সেই বৈঠক শেষে শুভেন্দু বলেন, ‘তৃণমূল নেত্রী ও তাঁদের প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির ২১৩ বিধায়কের পরও আরও বিধায়ক প্রয়োজন। সেই কারণে দলের সঙ্গে যোগাযোগহীন দুই বিধায়ককে যোগ দিইয়েছেন। যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী নন এমএলএ, তাই পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিধানসভায় তৃণমূল দলের নেতা। দলত্যাগবিরোধী আইনকে তিনিই বুড়ো আঙুল দেখালেন। আইনকে অপমান করা হল।’

যদিও শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জ, ‘বিজেপি মুকুল রায়ের বিষয়ে যেমন পদ্ধতি মেনে যেমন এগিয়েছি, পিএসি কমিটি ভাঙার জনস্বার্থ মামলা করেছি। তন্ময় ঘোষ ও বিশ্বজিৎ দাসের বিরুদ্ধেও আইন মেনেই নোটিশ পাঠিয়েছি। সাতদিনের মধ্যে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। যা করার হয়, করব।' রাজ্যের বিরোধী দলনেতার সংযোজন, 'রাজ্যসভার নির্বাচনেও একাধিক বিধায়ককেও যোগ দেওয়ানো হয়েছে। তখনকার বিরোধী দলের এ নিয়ে সদিচ্ছা ছিল বলে মনে হয় না। কিন্তু আমরা শেষ পর্যন্ত দেখব, এটা বলে রাখলাম।’