বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সামনের মাসের ২ তারিখ, অর্থাৎ ২ জুলাই শুরু হতে চলেছে বিধানসভার অধিবেশন। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পরে, এটাই প্রথম বিধানসভার অধিবেশন হতে চলেছে। এদিকে বিধানসভার প্রথম অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে সোমবার, অর্থাৎ আজ প্রথম সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়। তবে, আজকের সেই অধিবেশনে অনুপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আজ দুপুর নাগাদ শুরু হয় এই বৈঠক। শুভেন্দু অধিকারী স্পিকারের ঘরে না গিয়ে, নিজের ঘরেই থাকেন। এই বৈঠকে শুভেন্দুর উপস্থিত থাকা নিয়ে আগে থেকেই জলঘোলা হচ্ছিল। তিনি বৈঠকে নাও থাকতে পারেন বলে গুঞ্জন উঠেছিল। এবার সেই আশঙ্কাই সত্যি প্রমাণিত হল।
সোমবার বিধানসভায় সর্বদলীয় বৈঠকের আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর নেতৃত্বেই নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসে বিজেপি পরিষদীয় দল। সূত্রের খবর, রাজ্যে জাল ভ্যাকসিন কাণ্ডে বিজেপি রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হবে। আর সেই বিষয় নিয়েই বিজেপির এই বৈঠকে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়।
আর এই পরিষদীয় দলের বৈঠকের পর আর দেখা যায়নি শুভেন্দুকে। তিনি সর্বদল বৈঠকে ছিলেন না। সর্বদল বৈঠকে না থাকার কারণে পাশাপাশি অধিবেশনের চূড়ান্ত কার্যপদ্ধতি স্থির করতে এদিন দ্বিতীয়ার্ধ্বে বিজনেস অ্যাডভাইজরি কমিটির বৈঠকেও থাকবেন না বলেই মনে করা হয়েছিল। কিন্তু এই বৈঠক শেষে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান যে, এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সবাই। তবে, কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাওয়ার পরেও, বিরোধী দলনেতা আজকের সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত থাকলেন না? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন শুরু হচ্ছে ২ জুলাই রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে। পর পর দু’দিন, ৩ এবং ৪ জুলাই ছুটি থাকবে। পরে ৫ এবং ৬ তারিখ রয়েছে রাজ্যপালের ভাষণের উপর বিতর্ক। ৭ তারিখ বাজেট পেশ। তবে, এবার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র অসুস্থ থাকায় বাজেট পেশ করবেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ৮ তারিখ বিধান পরিষদ তৈরির প্রস্তাবে গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশ করা হবে।
পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)-র চেয়ারম্যান পদের মনোনয়ন নিয়ে বিজেপি এবং শাসকদল তৃণমূলের সংঘর্ষের আবহে বিরোধী দলনেতার এই পদক্ষেপকে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। উল্লেখ্য, পিএসি-র চেয়ারম্যান পদে সাধারণত বিরোধী দলের কাউকেই দেখা গিয়েছে। এটাই রীতি। তবে, গত বুধবার এই পদের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন সদ্য বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসা মুকুল রায়। এর পরই এর বিরোধিতা করে ময়দানে নামে বিজেপি। দলত্যাগ বিরোধী আইনের আওতায় মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজ করার জন্য ইতিমধ্যেই স্পিকারের দ্বারস্থ হয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আগেই জানিয়েছেন, আগামী ১৬ জুলাই স্পিকারের কাছে মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের স্বপক্ষে তথ্য ও নথি তুলে ধরবেন তিনি। শুনানিতে উপস্থিত থাকবেন তিনি নিজে।