শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

নন্দীগ্রামে হারলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ভোটে জয়ী ভূমিপুত্র শুভেন্দু

০৭:০১ পিএম, মে ২, ২০২১

নন্দীগ্রামে হারলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ভোটে জয়ী ভূমিপুত্র শুভেন্দু

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম আসন থেকে জিতে গেলেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামে ১৬২২ ভোটে জয়ী হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। হেরে গিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল না বিজেপি, কার হাতে থাকবে পশ্চিমবঙ্গের ভার? পাশাপাশি কে জিতবেন ‘হাইভোল্টেজ’ নন্দীগ্রামের যুদ্ধে? ওই আসনে যুযুধান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে কে এগিয়ে, কে-ই বা পিছিয়ে— জানতে রবিবার সকাল থেকেই মুখিয়ে ছিল আম জনতা। শুরুতে এগিয়ে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, ব্যবধান কমিয়ে মমতাও পিছনে ফেলে দেন শুভেন্দুকে। জোর টক্কর চলছিল নন্দীগ্রাম আসনে। ১৬ রাউন্ডের গণনা শেষে মাত্র ৬ ভোটে এগিয়ে ছিলেন শুভেন্দু।

https://twitter.com/ANI/status/1388809417672384514

১৭ রাউন্ড গণনার পর জানা যায়, জয়ী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দুকে পিছনে ফেলে ১২০০ ভোটে না-কি জয়ী হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু, পরে শুভেন্দু অধিকারী জানান, মমতা নন, নন্দীগ্রামে তিনিই জয়ী হয়েছেন। তাও আবার ১৬২২ ভোটে। জমি আন্দোলনের ভূমিতে শেষমেশ মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়কে হারিয়েই দিলেন শুভেন্দু। সাংবাদিক বৈঠকে নন্দীগ্রামে হেরে গিয়েছেন বলে জানান মমতাও। তিনি বলেন, ‘‘নন্দীগ্রাম যা রায় দেব, মাথা পেতে নেব।" মমতার কথায়, "নন্দীগ্রাম নিয়ে আমি চিন্তিত নই। আমি আন্দোলন করেছিলাম, তাই নন্দীগ্রামে লড়েছিলাম। ঠিক আছে। নন্দীগ্রাম যা রায় দেব, মাথা পেতে নেব। আমরা ২২১-এর বেশি আসনে জিতেছি এবং বিজেপি নির্বাচনে হেরেছে।

https://twitter.com/amitmalviya/status/1388834667302821888

গত বছর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি বিজেপি-তে যোগ দেন শুভেন্দু। তার পর লাগাতার মমতা ও তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়ে যান একদা মমতার বিশ্বস্ত সেনানী শুভেন্দু অধিকারী। ১০ মার্চ আনুষ্ঠাানিক ভাবে নন্দীগ্রামের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন মমতা। ওই দিনই নন্দীগ্রামে আক্রান্ত হন মমতা। পায়ে আঘাত পান। তা নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপি-র মধ্যে তরজা চরমে ওঠে। ১২ মার্চ নন্দীগ্রাম থেকে বিজেপি-র হয়ে মনোনয়ন জমা দেন শুভেন্দু। তিনি সর্বদা দাবি করেছেন, নন্দীগ্রামে মমতাকে বিপুল ব্যবধানে হারাবেন তিনি। শেষ হাসি শুভেন্দুই হাসলেন।