বিধানসভা আজ বিরল ও ব্যতিক্রমী ঘটনার সাক্ষী থাকল। সব্যসাচী দত্তের তৃণমূলে ফেরা নিয়ে এমনটাই জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একইসঙ্গে এই বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপির একাধিক নেতৃত্ব।
বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা চলছিল সব্যসাচী দত্তের দল বদলের। এবার সেই সম্ভাবনাকে সত্যি করেই বৃহস্পতিবার বিধায়ক হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথ গ্রহণের দিন তৃণমূলে ফিরলেন বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র। এদিন ফিরহাদ হাকিম, মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করলেন বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র। বিধানসভার ভিতরে এই দলবদল কার্যত এক নজিরবিহীন ঘটনা।
এদিন সব্যসাচী দত্তের তৃণমূলে যোগদান করার ছবি পোস্ট করে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে শুভেন্দু লেখেন, "আজ পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা একটি বিরল এবং ব্যতিক্রমী ঘটনার সাক্ষী থাকল। যা ভারতের অন্য কোনও বিধানসভা কখনও দেখেনি বা প্রত্যক্ষও করেনি।"অর্জুন সিংয়ের মতো বিজেপি নেতারাও সব্যসাচীর দলবদল নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন।
https://twitter.com/SuvenduWB/status/1446101578474135554এদিকে দলে ফিরেই ফের দলনেত্রীর সম্পকে প্রশংসা শোনা যায় সব্যসাচী গলায়। দলের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির কারণেই দল ছেড়ে গিয়েছেন বলে জানান তিনি। সব্যসাচী মুকুল রায়ের হাত ধরে ২০১৯ সালে তৃণমূল ছাড়েন। তবে এবছরের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়ে তিনি হেরে যান। তারপরই অন্যান্য ‘ঘর ওয়াপসি’ করা নেতাদের মতো তাঁরও পুরনো দলে ফেরা নিয়ে জল্পনা চলছিলই।
অন্যদিকে সব্যসাচী দত্তের দলে ফেরা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তাপস চট্টোপাধ্যায়, সুজিত বসুও। সব্যসাচীর ফের তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল সুজিত বসুর। তবে সূত্রের খবর, এই সমস্যা সমাধানে বিশেষ ভূমিকা রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী। সব্যসাচীকে এমন ভাবে দলীয় কাজে লাগানো হবে যাতে মনোমালিন্যের পরিস্থিতিই না ওঠে।