শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

স্মৃতিশক্তি ছিল মারাত্মক প্রখর! এক রাতের মধ্যেই কোনও বই পড়ে প্রশ্নের নির্ভুল উত্তর দিতেন স্বামীজি

১১:১৫ এএম, জানুয়ারি ১২, ২০২২

স্মৃতিশক্তি ছিল মারাত্মক প্রখর! এক রাতের মধ্যেই কোনও বই পড়ে প্রশ্নের নির্ভুল উত্তর দিতেন স্বামীজি

নরেন্দ্রনাথ দত্ত থেকে তিনি হয়ে উঠেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। তাঁর মহান চিন্তাধারায় তিনি প্রবুদ্ধ করেছিলেন বাঙালি তথা সারা বিশ্ব বাসীকে৷ আসমুদ্রহিমাচল জ্ঞান চক্ষু জাগ্রত করেছিলেন তিনি। বিশ্বের ছড়িয়েছিলেন ভাতৃত্বের বার্তা। সমাজকে জাগিয়েছিলেন জাতীয়তাবাদের আগুনে। তবে শুনলে অবাক লাগে তাঁর পুঁথিগত শিক্ষায় তেমন আগ্রহই ছিল না।

স্বামী বিবেকানন্দ পুঁথিগত বিদ্যায় তেমন মেধাবী কোনও দিনই ছিলেন না। ছেলেবেলা থেকেই পুঁথিগত লেখা পড়াতে মন বসতো না তাঁর। পড়ার বইতেও তাই মনোনিবেশ করতে মোটেই ভালো লাগতো না স্বামীজি। কিন্তু সাহিত্যে ছিল বরাবরের নেশা৷ পুঁথিগত বিদ্যার বাইরে যে কোনও বই-ই তিনি পড়তেন গভীর মনোযোগী হয়ে। কেউ কিছু প্রশ্ন করলে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে জবাবও দিতেন তিনি। তাঁর স্মৃতিশক্তি ছিল মারাত্মক প্রখর।

স্বামীজি যখন মেরঠে থাকতেন, সেই সময়ে প্রায়ই সেখানের গ্রন্থাগার থেকে বই আনাতেন তিনি। বই গুলি নিয়ে আসতেন স্বামী অভেদানন্দ। আর ঠিক তার পর দিনই আবার তা পড়ে ফেরতও দিয়ে দিতেন স্বামীজি। এক রাতের মধ্যেই তিনি পড়ে ফেলতেন আনানো সমস্ত বই। আবার পরদিন ফের আনানো হতো নতুন বই।

এরকম চলতে চলতে একদিন হঠাৎই গ্রন্থাগারিকের মনে সন্দেহ জাগে। কীভাবে এক রাতের মধ্যে এতো বই পড়া সম্ভব? তাই তিনি ঠিক করলেন স্বামীজির পরীক্ষা নেবেন যে তিনি আদৌ বইগুলি পড়েন কি না। স্বামীজিকে প্রশ্ন করবেন তিনি। সেই মতো পরদিন বই ফেরত দিতে স্বামীজি এলেই সেই বই থেকে প্রশ্ন করতে শুরু করলেন গ্রন্থাগারিক। শুনে স্বামীজি একটু হেসে সমস্ত প্রশ্নেরই যথাযথ উত্তর দিলেন। এমনকি কোন পাতায় কী লেখা রয়েছে বলে দিলেন তাও। যা দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে যান সেই গ্রন্থাগারিক। স্বামীজি হাত ধরে তাঁকে প্রণামও করেন।