শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

ভাড়াটিয়া-বাড়িওয়ালার সংঘাতের দিন শেষ! নতুন আইন আনল মোদি সরকার

১০:৩৩ পিএম, জুন ২, ২০২১

ভাড়াটিয়া-বাড়িওয়ালার সংঘাতের দিন শেষ! নতুন আইন আনল মোদি সরকার

কোথাও গায়ের জোরে ভাড়া দিতে চান না ভাড়াটে, তো কোথাও আবার ‘সিকিউরিটি মানি’ নামে যথেষ্ট চাপ সৃষ্টি করা হয় ভাড়াটিয়াদের উপর। এই সমস্যার সমাধানে এবার ভাড়াটিয়া আইনে বড় পরিবর্তন আনল কেন্দ্রীয় সরকার। আজ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ক্যাবিনেট বৈঠকের পর সামনে এলো এই নয়া আইন।

মোদি সরকারের ধারণা, এই আইনের প্রণয়নের দিকে ভাড়া দেবার ক্ষেত্রে অনেকটা স্বচ্ছতা আসবে। যার ফলস্বরূপ এ ধরনের ব্যবসারও অনেকটাই উন্নতি হবে। এতে যেমন গৃহহীনদের ক্ষেত্রে বাড়িভাড়া পাওয়ার সুযোগ অনেকটাই বাড়বে, তেমনই মালিকপক্ষও তার সম্পত্তি সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারবেন। একইসঙ্গে, আবাসিক ভাড়া ব্যবসাকে এই আইন এক ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবে বলেও ধারণা কেন্দ্রীয় সরকারের।

এই ভাড়াটিয়া আইনে বলা হয়েছে, একজন ভাড়াটিয়া কখনোই সম্পত্তির অধিকার দাবি করতে পারবেন না। তবে একই সঙ্গে মালিকপক্ষ তাকে যখন তখন উঠিয়ে দিতে পারবেন না। কিন্তু মালিকপক্ষ যদি সময়মত নোটিশ দিয়ে থাকেন এবং তাও ভাড়াটিয়া ঘর ছাড়তে রাজি না হন তাহলে সেক্ষেত্রে প্রথম দুই মাসের জন্য দ্বিগুণ ভাড়া এবং তারপর থেকে চার গুণ ভাড়া দাবি করতে পারবেন মালিকপক্ষ।

এছাড়াও, সিকিউরিটি মানির ক্ষেত্রে টাকা ডিপোজিট হিসেবে নেওয়া যাবে না। সে ক্ষেত্রে তিন মাসের ভাড়া অথবা কোন কোন ক্ষেত্রে ছয় মাসের ভাড়া এককালীন সিকিউরিটি মানি হিসেবে নিতে পারবেন মালিকপক্ষ। তবে বিভিন্ন জায়গার ক্ষেত্রে অর্থের পরিমাণ বিভিন্ন। জানানো হয়েছে দিল্লির ক্ষেত্রে মাসিক ভাড়ার প্রায় ছয় গুণ টাকা দিতে হবে ভাড়াটিয়াকে। তবে অন্যান্য কোন ক্ষেত্রে তা তিনগুণ বা দ্বিগুণও হতে পারে। একইসঙ্গে, ভাড়াটিয়া এবং মালিকপক্ষ সংক্রান্ত যে কোন বিবাদ সমাধানের জন্য টেনেন্সি কোর্ট আপন করতে পারবে রাজ্য। যার ফলে এ ধরণের সমস্যার আরো দ্রুত সমাধান হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে প্রথমবার এই আইনের ড্রাফট জমা পড়েছে। কিন্তু ক'বছর আগেও পশ্চিমবঙ্গে বাড়িভাড়া সংক্রান্ত আইন এতটাই ভাড়াটেদের পক্ষে ছিল যে, ভাড়া দিতেই ত্রস্ত বোধ করতেন বাড়িওয়ালারা৷ কিন্তু এর পরিবর্তন ঘটেছে৷ ইতমধ্যেই সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে এই আইন লাগু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে এই মডেলকে নতুন আইন হিসেবেও প্রণয়ন করা যেতে পারে আবার পুরনো ভাড়াটিয়া আইনের সঙ্গেই সংশোধিত হিসেবে ব্যবহার করতে পারে রাজ্যগুলি। এই মডেলের ফলে এবার ভাড়াটিয়া ও মালিক পক্ষের সম্পর্ক অনেকটাই স্বচ্ছ হবে বলে আশা কেন্দ্র সরকারের।