১৫জুলাই পর্যন্ত কার্যত বিধি-নিষেধের মেয়াদ বৃদ্ধি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ১ জুলাই থেকে ৫০ শতাংশ যাত্রীসংখ্যা নিয়ে সরকারি বেসরকারি বাস চলবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এতে বাস মালিকদের খরচ উঠবে না বলেই জানাচ্ছেন তারা। ৫০ শতাংশের যাত্রী নিয়ে বাস চলে সে ক্ষেত্রে তেলের খরচ উঠবে না বলেই দাবি বাস মালিক সংগঠনের।
এদিন নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পয়লা জুলাই থেকে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে সরকারি বেসরকারি বাস চলতে পারে। সেক্ষেত্রে লোকাল ট্রেন মেট্রোরেলকে চলার ক্ষেত্রে কোন রকম সবুজসংকেত দেওয়া হয়নি। এই পরিস্থিতিতে ৫০ শতাংশ যাত্রীর সংখ্যা নিয়ে গাড়ি চলে তাতে আখেরে বাস মালিকদের ক্ষতি হবে বলেই জানাচ্ছেন তারা।
বাস মালিক সংগঠনের তরফে জানানো হয়, যে ভাবে পেট্রোপণ্যের মূল্য আকাশ ছোঁয়া। তাতে হাতে গোনা যাত্রী নিয়ে বাস চালাতে গেলে তীব্র সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে তাঁদের। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস চালানোর অনুমতি দিলে বাস চালিয়ে খরচ তোলা সম্ভব নয়। তাই পাকাপাকিভাবে বাস চলা লাগে ফের একবার পরিবহন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চান তারা।
গত লকডাউনের আগে ডিজেলের দাম ছিল ৬৫ টাকার নিচে। এখন সেই ডিজেলের দাম পেরিয়েছে ৯০ টাকার। তাই এই মুহূর্তে ভাড়া বৃদ্ধির ছাড়া আর কোন উপায় নেই বলেই জানাচ্ছেন সংগঠনের মালিকরা। তেলের খরচ তুলতে ভাড়া বাড়ানোই একমাত্র পথ বলে মনে করছে বাস মালিক সংগঠনগুলি। এ পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার বারবার জানিয়েছে তারা কোনোভাবেই বাসের ভাড়া বৃদ্ধি করতে পারবে না। তাই কিভাবে বাস মালিকদের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে মধ্যস্থতা করা যায় এখন সে দিকেই নজর থাকবে আমজনতার।