শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘তাউকতাই’, ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তার তাণ্ডবলীলা

০৬:০৫ পিএম, মে ১৬, ২০২১

আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘তাউকতাই’, ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তার তাণ্ডবলীলা

বংনিউজ২৪x৭ ডেস্কঃ রাজ্যে আজকের আবহাওয়া - Ajker Abhawa কেমন থাকবে একনজরে দেখে নেওয়া যাক। এবছর শীত যেমন দীর্ঘস্থায়ী ছিল, সেরকম গরমও রেকর্ড পড়বে বলেই আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া দপ্তর। ইতিমধ্যেই রাজ্যের জেলায় জেলায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।

অন্যদিকে আজ সকাল থেকেই মেঘ রোদ দুয়েরই দেখা মিলছে। রাজ্যে ফের বৃদ্ধি পেয়েছে তাপমাত্রা। জানা গেছে আরব সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় এর প্রভাবে রাজ্যে প্রচুর শুষ্ক বাতাস প্রবেশ করছে। আর তার ফলেই বৃদ্ধি পেয়েছে তাপমাত্রা। উল্লেখ্য ভয়াবহ রূপ নিয়ে গুজরাত উপকূলে আছড়ে পরতে চলেছে আরব সাগরে তৈরি হওয়া শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তাউকতাই। ইতিমধ্যেই মৌসম ভবন (IMD) জারি করেছে কমলা সতর্কতা।

স্কাইমেটের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আরব সাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ধীরে ধীরে শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিনত হয়ে আগামী ১৮ মে মঙ্গলবার বিকেলে আছড়ে পরতে চলেছে গুজরাতের উপকূলবর্তী এলাকায়। সেসময় ঘণ্টা প্রতি ১৫০ থেকে ১৬০ কিমি বেগে ঝড় বইতে পারে বলে আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের। ইতিমধ্যে গুজরাতে হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে। গুজরাত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি রাজ্যজুড়ে সতর্কতা জারি করেছেন অনেক আগেই, সঙ্গে সবরকম ভাবে প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছেন উপকূলবর্তী জেলাগুলির প্রশাসনকে। ১৬ থেকে ১৯ মে এর মধ্যে ভয়ঙ্কর রূপ নিতে চলেছে এই ঘূর্ণিঝড়। উপকূলভাগে আছড়ে পড়ার সময় ঘূর্ণিঝড়ের গতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ১৫০-১৬০ কিলোমিটার। ১৮ মে সন্ধ্যা নাগাদ পোরবন্দর ও নালিয়া তট এলাকায় আছড়ে পরার সম্ভাবনা রয়েছে৷ ঝড়ের গতিবেগ ১৫০-১৬০ কিলোমিটার ও কখনো ১৭৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টাও হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আইএমডি।

ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে ঘূর্ণিঝড়। আর তার জেরে ইতিমধ্যে গোয়া ও কর্ণাটকের বিভিন্ন এলাকায় বর্জ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে৷ চলছে ঝড়ের ভয়ঙ্কর তাণ্ডবলীলা৷ এছাড়া উত্তর ও দক্ষিণ গোয়া, উত্তর ও দক্ষিণ কানাড়া, বেলগাম, চিকমাগালুর, ধারওয়াড়, গাদাং, হাভেরি, শিমোগা, উডিপি জেলায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে চলেছে৷ ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। কর্নাটক বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সূত্রে খবর অনুযায়ী, তছনছ হয়েছে প্রায় ৭৩ টি গ্রাম। তার সাথে ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ জন। পুরো পরিস্থিতির ওপর কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইদুরাপ্পা নজর রাখছেন বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী আজ থেকেই মুম্বই সহ গোটা মহারাষ্ট্রে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পরতে চলেছে৷ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে মুম্বই-এ৷ পশ্চিম মহারাষ্ট্রের পার্বত্য অঞ্চলে বজায় থাকবে ঝড়ের দাপট৷ আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিতে চলেছে ঘূর্ণিঝড়। সৌরাষ্ট্রের কয়েকটি জেলায়, কচ্ছ, দিউ, জুনাগড়, গির সোমনাথেও ভারি বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে।

এছাড়া কেরল, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, গোয়া, লাক্ষাদ্বীপ ও দক্ষিণ কঙ্কন এ ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। এই সকল উপকূলীয় স্থানে সমুদ্র উত্তাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। স্কাইমেটের পূর্বাভাস অনুযায়ী, লাক্ষাদ্বীপ, কেরল, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, কোঙ্কন, গোয়া এর বেশ কিছু অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ ইতিমধ্যেই সতর্কতা নিয়ে অ্যালার্ট রয়েছেন এনডিআএফ-এর ৫৩টি টিম। অন্যদিকে ১৮ মে থেকে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে সৌরাষ্ট্র, কচ্ছে। অনেক আগেই মৎসজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। যাঁরা সমুদ্রে গিয়েছেন তাঁদের ফিরে আসারও নির্দেশ জানিয়েছিলেন প্রশাসন।