বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই নড়েচড়ে বসল কমিশন! ২ মে-র নিরাপত্তা নিয়ে হলো চূড়ান্ত বৈঠক

১০:৩৭ পিএম, এপ্রিল ২৬, ২০২১

হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই নড়েচড়ে বসল কমিশন! ২ মে-র নিরাপত্তা নিয়ে হলো চূড়ান্ত বৈঠক

ভোট আবহে যেভাবে রাজ্যে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে নির্বাচন কমিশনের তীব্র সমালোচনা করেছে মাদ্রাস হাইকোর্ট। পাশাপাশি আগাম নিরাপত্তার কি ব্যবস্থা নিচ্ছে কমিশনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। অন্যথায় ২ মে ভোট গণনা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এরপরেই কার্যত নড়েচড়ে বসল কমিশন। তড়িঘড়ি ডাকা হল বৈঠক। রাজ্য নির্বাচন দফতরের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করলেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন।

কমিশন সূত্রে খবর, আগামী ২ মে ভোট গণনার সময় কি কি সতর্কতা নেওয়া হবে তা নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে ওই বৈঠকে। এছাড়াও বৈঠকে পিপিই কিট পড়ে ভোট গণনা করার দাবিও ওঠে। তবে শেষ পর্যন্ত সেই দাবি গৃহীত হয় নি। এর প্রধান কারণ হিসেবে রাজ্যের তাপমাত্রাকেই দেখানো হয়েছে।

কমিশন সূত্রে আরও খবর, রাজ্যের যে সমস্ত জায়গায় ভোটের গণনা কেন্দ্র হয় সেখানে ঠিক মত পাখাই থাকে না। তাই ওই সমস্ত জায়গায় পিপিই কিট পড়ে এতক্ষন ভোট গণনা করা সমস্যার। এর জেরে গণনাকারীরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। এতে বিপদ আরও বাড়তে পারে। তাই সেই কারণে পিপিই কিট পড়ে ভোট গণনা করার সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়। তবে যথাযথ করোনা বিধি মেনেই ভোট গণনা করা হবে বলেও জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্যে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধিতে কমিশনকে দায়ী করে মাদ্রাস হাইকোর্ট। পাশাপাশি এই আবহে রাজনৈতিক সমাবেশে অনুমোদন দেওয়ার জন্য হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে নির্বাচন কমিশন। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনকে বলেন, “আপনাদের প্রতিষ্ঠানই এককভাবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউর জন্য দায়ী।” আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ‘সম্ভবত খুনের মামলা’ হওয়া উচিত বলেও জানান তিনি। নির্বাচন কমিশনকে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “যখন নির্বাচনী সমাবেশ হচ্ছিল, তখন কি আপনারা অন্য গ্রহে ছিলেন?”

এরপরেই মাদ্রাজ হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের কাছে ২ মে-এর পরিকল্পনা জানতে চেয়েছে। তার সঙ্গে সাফ জানিয়েছে, যদি করোনাবিধি মেনে চলার নির্দিষ্ট পরিকল্পনা না থাকে তাহলে সে দিন গণনা বন্ধ করবে হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি বলেন, "মানুষ বেঁচে থাকলে তবেই গণতান্ত্রিক অধিকার উপভোগ করতে পারবে"।