শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধকে পরিবারের হাতে তুলে দিয়ে নজির গড়ল হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ

০৫:৫৫ পিএম, মার্চ ১০, ২০২১

মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধকে পরিবারের হাতে তুলে দিয়ে নজির গড়ল হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদনঃ মালদাঃ তনুজ জৈনঃ মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা পুলিশের উদ্যোগে এক মানসিক ভারসাম্যহীন ভবঘুরে বৃদ্ধকে ফিরে পেল তার পরিবার। সোমবার গভীর রাত্রে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার দৌলতপুর-মিলনগড়গামী রাজ্য সড়কে এক অজানা মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধকে ঘুরতে দেখা যায়। এলাকায় উপস্থিত থাকা হোমগার্ড ও সিভিক ভলেন্টিয়ার বৃদ্ধকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিন্তু কোনো সদুত্তর না পাওয়ায় তাকে সেই রাতেই হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় নিয়ে আসা হয়। কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকরা বৃদ্ধের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পারেন তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন।

তারপরই হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাসের উদ্যোগে সেই রাতে বৃদ্ধের ছবি আশেপাশে বিভিন্ন থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ মারফত বুধবার সকালে জানা যায় ওই বৃদ্ধের বাড়ি বীরভূম জেলার পাইকর থানা এলাকায় কাশিমনগর গ্রামে। দীর্ঘদিন ধরেই ওই বৃদ্ধ মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। বৃদ্ধের নাম আব্দুল লতিফ। বয়স ৫০। মাঝেমাঝেই বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যান। এবারও বাড়ির লোকের অজান্তে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। বৃদ্ধের বাড়ির লোকেরা বীরভূম জেলার বিভিন্ন থানা তে নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন। গতকাল গভীর রাত্রে পাইকর থানা থেকে ফোন আসে। দেরী না করে বৃদ্ধের পরিবার তড়িঘড়ি মালদা জেলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বুধবার সকালে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস ওই বৃদ্ধ কে তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেয়। হরিশ্চন্দ্রপুর থানা পুলিশের এই মহৎ প্রচেষ্টার ফলে এক মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধ নিজের ঘরে ফিরতে পারলেন। পুলিশের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।

এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান, সোমবার গভীর রাত্রে মিলনগড় যাওয়ার রাস্তায় উদ্ধার করা হয়। রাত্রে বেলায় তারা থানায় নিয়ে আসে বৃদ্ধকে। এবং তাঁর থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেন তারা। তারপর বিভিন্ন থানায় খবর দেওয়া হয়। এরপরই জানতে পারা যায় ওই বৃদ্ধের বাড়ি বীরভুম জেলার পাইকর থানা এলাকায়। লোকাল থানা মারফত সেখানে খবর পাঠানো হয় বলেই জানা গেছে। তারা আজ ওই বৃদ্ধকে পরিবারের লোকের হাতে তুলে দেন।

অন্যদিকে বৃদ্ধ আব্দুল লতিফের স্ত্রী নাসিরা বিবি জানান, তাঁর স্বামী দীর্ঘদিন ধরেই মানসিকভাবে অসুস্থ। মাঝেমাঝেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে চলে যায়। তারা খুঁজে নিয়ে আসে। কিন্তু এবার সবার চোখ এড়িয়ে বাড়ির বাইরে চলে গিয়েছিল এবং বাড়ি থেকে বেরিয়ে এই হরিশ্চন্দ্রপুর এসে উপস্থিত হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিয়েছিলেন তারা কিন্তু কোথাও খোঁজ মিল ছিল না। অবশেষে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা থেকে খবর আসে গতকাল। আজ হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশের উদ্যোগে তিনি তাঁর স্বামীকে ফিরে পেয়েছেন বলে জানান।