আশঙ্কাকে সত্যি করে নির্ধারিত সময়ের আগেই বালাসোরে আছরে ঘূর্ণিঝড় যশ। সকাল ৯টা তেই ধামরায় ল্যান্ডফল করে যশ। ঘণ্টায় ১৫৫ কিমি বেগে বইতে থাকে হাওয়া। এই ঘূর্ণিঝড় যশের তাণ্ডবে তছনছ ওডিষার বালেশ্বরের জনজীবন । বৃষ্টি হয়েই চলেছে। ভারী বৃষ্টিতে এক গলা জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে রাস্তায়।
রামেশ্বর মন্দিরের কাছে যে নিকাশি নালা রয়েছে, সেটা উপচে গিয়েছে। প্রচুর পরিমাণে গাছপালা পড়ে গিয়েছে। শহরের রাস্তাগুলোও গাছ ভেঙে পড়ে জায়গায় জায়গায় বন্ধ। বালেশ্বর সংযোগকারী দুটো জাতীয় সড়ক ৫ এবং ৬০ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
বালেশ্বর রেল স্টেশনের পাশে মালগুদামের কাছে বেশকিছু ঝুপড়ি ভেঙেও গিয়েছে। অনেকগুলি বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই ওড়িশার বালেশ্বরের ধামড়া ও চাঁদবাড়ি বন্দরের মাঝে স্থলভাগে আছড়ে পড়ে 'যশ'। টানা তিনঘণ্টা তাণ্ডব চালিয়েও এখনও নিজের তেজ দেখাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়।
ঘণ্টায় ১৩০-১৪৫ কিমি বেগে সর্বোচ্চ ১৫৫ কিমিতে ওড়িশার ভদ্রক, পুরী, বালেশ্বর কেন্দ্রপাড়া হয়ে ক্রমশ উত্তর দিকে বয়ে যাচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে বা সকালে ঝাড়খণ্ডে প্রবেশ করে ঘূর্ণিঝড়।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছিল বুধবার দুপুর ১২ টার পর থেকে ল্যান্ডফল হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ের। তবে সময় এর আগেও এই ঝড় আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন আবহাওয়াবিদরা। সেই আশঙ্কাই সত্যি হয় এদিন। ধামরা থেকে বালেশ্বরের মাঝামাঝি জায়গায় ‘আউটার ওয়াল’ আছড়ে পড়তে শুরু করে।
নির্ধারিত সময়ের আগেই ওড়িশার বালেশ্বরে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় যশ। ল্যান্ড ফলের সময় সাইক্লোনের আই অংশটি ঢুকতে শুরু করে স্থলভাগে। এই মাঝের অংশটি ঢোকার সময় ঝড়ের বেগ ও বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমে যায়। টেল অংশটি অতিক্রম করে যাওয়ার সময় ফের ঝড়ের দাপট বাড়ে। বাড়ে বৃষ্টিও।
বৃহস্পতিবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের কিছু জেলা- পশ্চিম মেদনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া পুরুলিয়ায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতায় আকাশ মেঘলা থাকবে। কয়েকটি জায়গায় বজ্র বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।