বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ-এর প্রভাব এখন শেষের দিকে। কোনওরকমে দেশ এই ধাক্কা সবে সামলে উঠতে শুরু করেছে। বহু সাধারণ মানুষ, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের অক্লান্ত সেবাদান ও মৃত্যুর বিনিময়ে দেশে এই মুহূর্তে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে করোনার সংক্রমণ। এর মধ্যেই ফের নতুন আতঙ্কের খবর সামনে আসছে।
বিশেষজ্ঞরা বারবার সচেতন করে আসছিলেন যে, এখানেই শেষ হচ্ছে করোনার আতঙ্ক। আরও ভয়ঙ্কর এবং আরও ভয়াবহ আকার নিয়ে আছড়ে পড়তে চলেছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। আবারও দেশের পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠতে পারে। বিপর্যস্ত হতে পারে, জনজীবন। তাই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক হতে বলছেন এখন থেকেই। উল্লেখ্য, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে সবথেকে বেশি ক্ষতি হবে শিশুদের। তবে, কবে আসছে করোনার তৃতীয় ঢেউ, সে সম্পর্কে এতদিন নির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।
তবে এবার AIIMS প্রধান ডক্টর রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন যে, আগামী ৬-৮ সপ্তাহের মধ্যেই দেশে আছড়ে পড়তে চলেছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। তিনি আরও জানিয়েছেন, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আঘাতে যাতে সর্বাধিক ক্ষতি এড়ানো যায়, সেজন্য টিকাকরণের হার বৃদ্ধি করাই একমাত্র উপায়। যদিও এর পাশাপাশি তিনি এও মেনে নিয়েছেন যে, দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষকে টিকাকরণের আওতায় আনা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের বিষয়। এমনকি, করোনা ভাইরাসের ডেল্টা প্লাস প্রজাতী নিয়েও আতঙ্কের কথা শুনিয়েছেন AIIMS প্রধান।
তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন জায়গায় আনলক পর্ব শুরু হতেই করোনাবিধি শিকেয় উঠেছে। ফের মানুষের মধ্যে অসচেতনতা লক্ষ করা যাচ্ছে। চারপাশ দেখে মনে হচ্ছে, করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ থেকে আমাদের কোনও শিক্ষাই হয়নি। ফের ভিড় জমছে, মানুষের জমায়েত হচ্ছে। এর জন্যই ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়বে। ছয় থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে সংক্রমণ বাড়তে পারে।’ যদিও তৃতীয় ঢেউ এড়ানোর উপায়ও তিনি বাতলে দিয়েছেন। AIIMS প্রধানের কথায়, মানুষের সচেতন ব্যবহারই একমাত্র সংক্রমণ আটকাতে পারে।
উল্লেখ্য, শুরু থেকেই বলা হচ্ছে, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের ছোট সদস্যরা বা ছোটরা। তাই এখন থেকেই বিভিন্ন রাজ্যে শুরু হয়েছে গেছে, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় প্রস্তুতি। শিশুদের সেফ হোম থেকে শুরু করে হাসপাতালে আলাদা ওয়ার্ডের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী ২-৪ সপ্তাহের মধ্যেই মহারাষ্ট্রে আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। আশঙ্কার কথা বললেও, মহারাষ্ট্রের টাস্ক ফোর্স- এর পক্ষ থেকে এও বলা হয়েছে, যে শিশুরা বাইরে বের হয় না, তাদের ক্ষেত্রে সংক্রমণের ভয় কম। উল্লেখ্য, আমেরিকাতেও করোনার একইরকম বিস্তার দেখা গিয়েছিল। দ্বিতীয় ঢেউ শেষ হওয়ার ৪ সপ্তাহের মধ্যেই সেখানে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছিল।