মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪

করোনা মোকাবিলায় ৫ মাসের পেনশন দান করে সোনু সুদের ফাউন্ডেশনের পাশে দাঁড়ালেন এই দৃষ্টিহীন ইউটিউবার!

০৪:২৪ পিএম, মে ১৫, ২০২১

করোনা মোকাবিলায় ৫ মাসের পেনশন দান করে সোনু সুদের ফাউন্ডেশনের পাশে দাঁড়ালেন এই দৃষ্টিহীন ইউটিউবার!

করোনা আতঙ্কে কার্যত জেরবার গোটা দেশ। দিনের পর দিন চড়ছে করোনার গ্রাফ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণের হারও। এরই মধ্যে সারা দেশে দেখা দিয়েছে অক্সিজেন ক্রাইসিস। অক্সিজেন নিয়ে দেশ জুড়ে এখন শুধুই হাহাকার। তবে মহামারীর মধ্যেও অক্সিজেন নিয়ে কালোবাজারীও বন্ধ হয়নি। বরং নিত্যদিন তা বেড়েই চলেছে। এই অবস্থায় দেশের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে আসছেন সাধারণ মানুষ থেকে নামী দামী সব সেলিব্রিটিই। তবে এবার সবাইকে ছাপিয়ে গেলেন অন্ধ্রপ্রদেশে ছোট্ট গ্রামের এক ইউটিউবার। করোনা মোকাবিলায় অভিনেতা সোনু সুদের ফাউন্ডেশনে যিনি দান করে দিয়েছেন নিজের ৫ মাসের পেনশনই।

সম্প্রতি নিজেই ট্যুইট করে এ কথা জানিয়েছেন সোনু সুদ। জানা গিয়েছে, মেয়েটির নাম বোড্ডু নাগা লক্ষ্মী। বাড়ি অন্ধ্রপ্রদেশের ভারিকুন্টাপারু নামে ছোট্ট এক গ্রামে। তিনি একজন ইউটিউবার। তবে তিনি দৃষ্টিহীন, অন্ধ। অর্থাৎ গোটা দুনিয়াই তাঁর কাছে অন্ধকার। তবে মানুষের দুঃখ-দুর্দশা বুঝতে যে দৃষ্টির প্রয়োজন নেই, তা প্রমাণ করে দিয়েছেন লক্ষ্মী। করোনা পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াতে তিনি দান করেছেন ১৫ হাজার টাকা। যা তাঁর ৫ মাসের পেনশন।

[embed]https://twitter.com/SonuSood/status/1392758095240040450?s=20[/embed]

ট্যুইটারে ঘটনাটি উল্লেখ করে লক্ষ্মীকে 'সত্যিকারের সুপার ওম্যান' বলে সম্বোধন করেছেন সোনু। অভিনেতা আরও লিখেছেন, "আমার জন্য, লক্ষ্মীই সবচেয়ে ধনী ভারতীয়। কারোর বেদনা দেখার জন্য আপনার দৃষ্টিশক্তির দরকার নেই। আপনি একজন সত্যিকারের নায়ক, 'ট্রু হিরো'! প্রসঙ্গত, করোনার সঙ্গে লড়তে অসহায় মানুষদের জন্য এই চ্যারিটি ফান্ড তৈরি করেছেন সোনু সুদ। যেখানে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াতে ইচ্ছেমতো অর্থ সাহায্য করতে পারেন আপনিও।

উল্লেখ্য, সোনু সুদের এই টুইটটি ইতিমধ্যেই বেশ ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। দৃষ্টিহীন ইউটিউবার লক্ষ্মীর উদারতা হাজার হাজার মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছে নিমেষেই। তাঁর দানের প্রশংসা করে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘তেলেগু মেয়েরা এই কাজের জন্য গর্বিত।’ অন্য আরেকজনের মন্তব্য, ‘নাগা লক্ষ্মী প্রকৃতই একজন ঈশ্বরের দূত।" তাঁকে কুর্নিশ জানাতেও ভোলেননি নেটিজেনরা।