শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

আবারও নিম্নচাপের ভ্রূকুটি! আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত চলতে পারে বৃষ্টি, কী বলছে আবহাওয়া দফতর?

০৯:২৪ এএম, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১

আবারও নিম্নচাপের ভ্রূকুটি! আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত চলতে পারে বৃষ্টি, কী বলছে আবহাওয়া দফতর?

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রবিবার রাত থেকে একটানা বৃষ্টি হয়েই চলেছে। বুধবার একটু বিরতি দিলেও, আকাশের মুখ ভার। রোদের দেখা নেই। বুধবার বিভিন্ন জেলায় মাঝে মধ্যেই বৃষ্টি হয়েছে। এটা আশ্বিন মাস। অথচ আশ্বিনেও বৃষ্টি থামার নাম নেই। প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হয়েই চলেছে। নিম্নচাপের কারণে বৃষ্টি হয়েই চলেছে রাজ্যজুড়ে। এদিকে লাগাতার বৃষ্টির জেরে ক্রমশ পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে জলযন্ত্রণা। উল্লেখ্য, কলকাতায় সোমবার এত বৃষ্টি হয়েছে যে ১৩ বছরে সেপ্টেম্বরে এত বৃষ্টি কখনও হয়নি৷ সোমবারের প্রবল বৃষ্টির কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তৃর্ণ এলাকা জলের নিচে৷ শহরের বহু জায়গা এখনও জলমগ্ন। জেলার চিত্রটাও একই রকমের। চাষের ক্ষতি হচ্ছে। এদিকে এই পরিস্থিতিতে ফের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে আবহাওয়া দফতরের বৃহস্পতিবারের পূর্বাভাস।

উল্লেখ্য, আগেই হাওয়া অফিস সূত্রে জানানো হয়েছিল যে, আরও তিনটি নিম্নচাপ অপেক্ষা করে রয়েছে। যার জেরে আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিতে শুরু হতে চলেছে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায়। বিশেষ করে পশ্চিমের জেলাগুলিতে এই বজ্রগর্ভ মেঘের প্রভাব পড়তে চলেছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন অংশ, ঝাড়গ্রামে এর সবথেকে বেশি প্রভাব পড়বে বলেই জানা গিয়েছে। এদিকে, কলকাতার আকাশ মেঘলা থাকবে। মাঝে মধ্যে হালকা বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে যে, আজকের তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যেই ঘোরাফেরা করবে।

হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মায়ানমার উপকূলে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের জেরে শনিবার থেকে ফের বৃষ্টি হবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে। বৃষ্টির জেরে নদীর জন বাড়ার সম্ভবনাও রয়েছে। বর্তমানে ঝাড়খণ্ডের উপরে নিম্নচাপ অবস্থান করছে। সক্রিয় রয়েছে মৌসুমী অক্ষরেখা। এই দুইয়ের প্রভাবেই বঙ্গোপসাগর থেকে দক্ষিণবঙ্গে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকেছে। এই কারণেই কলকাতা-সহ দক্ষিণের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে চলেছে।

অন্যদিকে, শুক্র এবং শনিবার মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বৃষ্টির সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়তে কলকাতা, দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগণা এবং হাওড়াতে। এই পরিস্থিতি তৎপর নবান্ন। ইতিমধ্যেই জেলাগুলিকে সবরকম প্রস্তুতি সেরে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।