শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

পুরভোটে অশান্তি হলেই কড়া ব্যবস্থা, প্রার্থীদের হুঁশিয়ারি অভিষেকের! শেষবেলার প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী

০৫:৫৯ পিএম, ডিসেম্বর ৪, ২০২১

পুরভোটে অশান্তি হলেই কড়া ব্যবস্থা, প্রার্থীদের হুঁশিয়ারি অভিষেকের! শেষবেলার প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী

সামনেই কলকাতা পুরসভা নির্বাচন। হাতে আর বেশি সময়ও নেই। তাই শেষবেলার প্রচারে কোমর বেঁধে সামিল হলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূ্ত্রের খবর, আগামী ১৬ ডিসেম্বর যাদবপুর ও টালিগঞ্জ এলাকার তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারের জন্য বাঘাযতীন যুব সংঘের মাঠে জনসভা করবেন তৃণমূল নেত্রী। পাশাপাশি সেদিনই বেহালা পূর্ব ও বেহালা পশ্চিম বিধানসভা এলাকার প্রার্থীদের সমর্থনে বেহালা-চৌরাস্তায় জনসভা হওয়ার কথা রয়েছে।

অন্যদিকে, পুরভোট শান্তিপূর্ণ রাখতে এদিন দলের প্রার্থীদের কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভার ১৪৪ ওয়ার্ডে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। এবার প্রতিটি এলাকা ধরে ধরে নির্বাচনী রণকৌশল ঠিক করতে শনিবার মহারাষ্ট্র নিবাসে বৈঠকে বসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের প্রার্থীরা ছাড়াও সেখানে হাজির ছিলেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। ওই বৈঠকে পুরভোটে অশান্তি ছোঁয়া না লাগানোর কড়া বার্তা দিলেন অভিষেক।

এদিন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বার্তা, "ভোট শান্তিতে করতে হবে, কোনওরকম হিংসা যেন না হয়। কোনও অভিযোগ যেন না আসে। গায়ের জোরে নয়, মানুষের পাশে থেকে ভোট করাতে হবে। ভোটারদের উপরই আস্থা রাখতে হবে। যা মার্জিন হবে, তাতেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। গায়ের জোর দেখানো বা গণ্ডগোলের একটিও অভিযোগ পেলে দল কড়া ব্যবস্থা নেবে।”

এখানেই শেষ নয়! নির্দেশ অমান্য হলে প্রয়োজনে বহিষ্কারের পথেও হাঁটতে পারে তৃণমূল, এমন বার্তাও দিলেন অভিষেক। এমনকি সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে দলের হয়ে বিরাট ব্যবধানে জিতলেও অভিযুক্তকে রেয়াত করা হবে না। তিনি বলেন, যাঁরা পুরভোটে শাসকদলের টিকিট পাননি, তাঁরাও দলের সৈনিক। পুরভোটে তাঁদেরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। এছাড়াও যাঁরা টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসেবে লড়ছেন, তাঁদেরও সকলকে একসঙ্গে লড়াই করার বার্তা দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় বহিষ্কারের খাঁড়া নামতে পারে তাঁদের উপরও।

পাশাপাশি অভিষেক আরও বলেন, "মনে রাখতে হবে, এই ভোটের দিকে সারা দেশ তাকিয়ে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে মেনে ভোট করাতে হবে। কোনও আত্মতুষ্টি নয়। জনগণ ৫ বছরের জন্য আপনাদের দায়িত্ব দেবে। তাই জনতার আস্থা অর্জন করতে হবে। মানুষের সঙ্গে থাকতে হবে, তাঁদের জন্য কাজ করে যেতে হবে।” কোনও হিংসাত্মক ঘটনায় যাতে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত না হয়, সেদিকেও প্রার্থীদের কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি যাঁরা এবারই প্রথম পুরভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন, তাঁদের জন্যও বিশেষ পাঠ দিয়েছেন অভিষেক-সহ দলের শীর্ষ নেতারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে এলাকায় উন্নয়নের খতিয়ান তুলে নবীন প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও এলাকার বিশিষ্টজনদেরও প্রচারে সামিল করার বন্দোবস্ত করছে তৃণমূল। দলীয় আইন মেনেই প্রচারের পথে পা বাড়াচ্ছেন ঘাসফুল শিবিরের প্রার্থীরা।