বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

‘ত্রিপুরায় মানুষ পরিবর্তন চান, সন্ত্রাস করে তৃণমূলকে রোখা যাবে না’, হুঁশিয়ারি কুণালের

০৫:১৭ পিএম, আগস্ট ৯, ২০২১

‘ত্রিপুরায় মানুষ পরিবর্তন চান, সন্ত্রাস করে তৃণমূলকে রোখা যাবে না’, হুঁশিয়ারি কুণালের

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ এবার ত্রিপুরায় তৃণমূলের যুব নেতাদের উপর হামলার প্রতিবাদে সরব হলেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সোমবার আগরতলায় সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সেখানেই তিনি ত্রিপুরার বিজেপিশাসিত সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। পাশাপাশি তুলোধোনা করেন মানবাধিকার কমিশনকে।

তৃণমূলের রাজ্যসভার সম্পাদক কুণাল ঘোষের প্রশ্ন ‘ত্রিপুরায় তৃণমূলের উপর হামলায় মানবাধিকার কমিশন চুপ কেন?’ উল্লেখ্য, বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছিল মানবাধিকার কমিশন। রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তুলে কড়া রিপোর্ট জমা দিয়েছেন কমিশনের প্রতিনিধিরা। এদিন সেই ইস্যুকে সামনে রেখে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে সুর চড়ালেন কুণাল ঘোষ। তাঁর প্রশ্ন, ‘কেন ত্রিপুরার ঘটনায় একটি শব্দও খরচ করল না মানবাধিকার কমিশন? কেন হামলাকারীদের গ্রেফতার করল না পুলিশ?’

এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক বলেন, ‘মানবাধিকার কমিশন বিজেপির অধিকার কমিশনে পরিণত হয়েছে। বিজেপির শাখা সংগঠনে পরিণত হয়েছে। দয়া করে, এই দলদাসের মতো আচরণ বন্ধ করুন। ত্রিপুরায় এই ঘটনার পর কোথায় গেল মানবাধিকার কমিশন?’

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষ আরও বলেন যে, ‘ত্রিপুরায় মানুষ পরিবর্তন চান। সন্ত্রাস করে তৃণমূলকে রোখা যাবে না।’ রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, ‘বিজেপি মনে রাখুক, বাংলার ৩৪ বছর শাসন করা বামফ্রন্টকে আমরা শূন্য করে দিয়েছি। ত্রিপুরায় বিকল্প সরকার গড়বে তৃণমূল কংগ্রেস।’

সম্প্রতি বিজেপিশাসিত ত্রিপুরায় গিয়ে একাধিকবার আক্রান্ত হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীরা। মহামারী আইনে গ্রেফতার করা হয় সুদীপ রাহা, জয়া দত্তদের। তাঁদের উদ্ধার করতে পড়শি রাজ্যে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আদালত থেকে ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়েছেন এ রাজ্যের শাসকদলের ১৪ জন। রাতে আক্রান্তদের নিয়ে কলকাতায় ফেরেন অভিষেক। সুদীপ রাহা ও জয়া দত্তকে ইতিমধ্যেই ভর্তি করা হয়েছে এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে। এদিন সকালে ঝাড়গ্রামে যাওয়ার আগে  হাসপাতালে গিয়ে নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে কুণাল ঘোষ আরও বলেন, ‘আইপ্যাক সদস্যদের আটকে রাখা থেকে পরপর হামলা চলছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কাল এসেছিলেন, ধরনায় বসেন। এভাবে তৃণমূলকে আটকে রাখা যাবে না। বাংলায় ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান করেছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ত্রিপুরায় বিকল্প সরকার গড়বে। সেটা ওরা বুঝতে পেরেছে, তাই হামলা।’

ত্রিপুরাকাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কুণাল ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, ‘তৃণমূলকর্মীদের অন্য রুটে ঘুরিয়ে নিয়ে গিয়েছে এসকর্ট। পুলিশ তাদের ঘুরিয়ে নিয়ে গিয়ে মার খাইয়েছে। একাধিক তৃণমূল কর্মী আক্রান্ত। হামলাকারীদের গ্রেফতার হচ্ছে না। আইনজীবীরা আদালতে ঢুকতে পারছেন না।’ এদিকে ত্রিপুরায় খোয়াই আবার তৃণমূলে যোগ দিতে এসে ‘আক্রান্ত’ বামকর্মীরাও। বিজেপির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।