বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

বিধায়ক হয়েও গাড়িতে না চড়ে টোটো কিনলেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী! কারণ জানালেন নিজেই

০৮:৪৮ পিএম, জুন ২১, ২০২১

বিধায়ক হয়েও গাড়িতে না চড়ে টোটো কিনলেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী! কারণ জানালেন নিজেই

বলাগড় বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। বিধায়ক হওয়ার আগে রিকশা চালাতেন তিনি। পাশাপাশি তিনি একজন লেখকও। দলিত লেখক হিসাবে পরিচিতি তাঁর৷ ফলে বিধায়কের মতো দায়িত্ব পেয়েও তাঁর পা এখনও মাটিতেই। তাই গাড়ি-বাড়ি নয়, সদ্য তিনি কিনলেন একটি টোটো। কেন কিনলেন? সে কারণও নিজের মুখেই জানিয়েছেন বলাগড়ের এই বিধায়ক।

ঝাঁ-চকচকে গাড়িতে সিকিউরিটি নিয়ে ঘোরার চেয়ে নিজের টোটো চালিয়েই এলাকায় ঘুরতে পছন্দ করেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী। তবে তাঁর বাহন টোটোটিও কিন্ত আর পাঁচটা টোটোর মতো সাধারণ নয়। সেই টোটোর সামনের কাঁচে রয়েছে ‘MLA’ নামাঙ্কিত বোর্ড। ঠিক অন্যান্য বিধায়কদের গাড়ির মতোই। তাতেই অন্য টোটোর থেকে স্বতন্ত্র হয়ে উঠেছে বিধায়কের বাহনটি।

[caption id="attachment_19627" align="alignnone" width="1493"]বিধায়ক হয়েও গাড়িতে না চড়ে টোটো কিনলেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী! কারণ জানালেন নিজেই বিধায়ক হয়েও গাড়িতে না চড়ে টোটো কিনলেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী! কারণ জানালেন নিজেই[/caption]

কিন্তু কেন দামী গাড়ি না কিনে টোটো কিনলেন বিধায়ক? মনোরঞ্জন জানিয়েছেন, "বড় গাড়ি কেনার আমার ইচ্ছে বা শখ আমার নেই। বড় গাড়ি মানুষের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করে। বড় বড় নেতা, মন্ত্রীরা যখন বড় বড় গাড়ি থেকে চার দশটা সিকিউরিটি নিয়ে নামেন তখন সাধারণ মানুষেরা ভয়ে পালিয়ে যান। আমি এরকম হতে চাই না। তাই জন্যই আমি এমন একটি বাহন বেছে নিয়েছি, যা সাধারণ মানুষ চালান এবং সাধারণ মানুষ এতে চাপেন।"

পাশাপাশি তিনি আরও জানান, "দিনে দিনে বাড়ছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। আগামী দিনে তা আরও বাড়বে। তাই আমি এই ব্যাটারি চালিত টোটো কিনেছি। এতে পেট্রোল বা ডিজেল লাগবে না । এছাড়াও আমাদের এখানকার অর্ধেক জায়গা গ্রাম্য। সেসব জায়গায় বড় গাড়ি যাবে না। সেই জায়গাগুলিতেই এই টোটো নিয়ে পৌঁছে যাবো আমি।"

প্রসঙ্গত, বরাবরই মাটির মানুষ বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। ভোটে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যাওয়ার সময়ও তিনি রিকশা চালিয়েই তা জমা দিতে গিয়েছিলেন। এছাড়াও বিধায়ক একাধারে কবিও৷ বৃত্তের শেষ পর্ব, জিজীবিষার গল্প, অন্য ভুবন, ইতিবৃত্তে চণ্ডাল জীবন ইত্যাদি ২১টি গ্রন্থের রচয়িতা তিনি। এছাড়াও এলাকার মানুষের পাশে সর্বদাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তিনি৷ এবার সেই মানুষগুলির সঙ্গে প্রাত্যহিক সংযোগ বজায় রাখার জন্যই গাড়ি না কিনে টোটো কিনলেন বিধায়ক।