শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

ভবানীপুরের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শোভনদেব, উপনির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!

০৩:১৫ পিএম, মে ২১, ২০২১

ভবানীপুরের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শোভনদেব, উপনির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!

ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। আজ, শুক্রবার দুপুরেই পদত্যাগ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক। আজ বিধানসভায় গিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে ইস্তফাপত্র তুলে দেন তিনি। তা গ্রহণ করে স্পিকার বলেন, "স্বেচ্ছায় ইস্তফা পত্র দিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। আমি তা গ্রহণ করলাম।" জানা গিয়েছে, উপনির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে লড়বেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলনেত্রীকে জায়গা ছেড়ে দিতেই ইস্তফা দিলেন শোভনদেব।

প্রসঙ্গত, সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে বর্তমান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়ম অনুযায়ী, ছ'মাসের মধ্যে তাঁকে যে কোনও কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে হবে। এদিকে এর আগে ভবানীপুর কেন্দ্রেরই বিধায়ক ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাই উপনির্বাচনেও সেই কেন্দ্র থেকেই দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।

অন্যদিকে, বরাবর রাসবিহারী কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়ালেও এবার বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্রে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের প্রার্থী হয়েছিলেন। ভবানীপুরের আসন থেকে বিজেপির অভিনেতা প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষকে পরাজিত করে বিধায়কও হয়েছিলেন শোভনদেব। তবে উপনির্বাচনের জন্য তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি ছেড়ে দিলেন দলনেত্রীকেই।

অন্যদিকে, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে অন্য কোনও কেন্দ্র থেকে জিতিয়ে আনা হবে কিনা, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের দুই কেন্দ্রে নির্বাচন হয়নি। এছাড়াও খড়দহতে তৃনমূল প্রার্থী কাজল সিনহার মৃত্যু হওয়ায় উপনির্বাচন হতে পারে। ফলে অন্য কোনও কেন্দ্র থেকে শোভনদেব দাঁড়াবেন কিনা তা নিয়ে খোলসা করে কিছু জানানো হয়নি। প্রসঙ্গত, তৃণমূলের প্রথম বিধায়ক ছিলেন শোভনদেবই। ১৯৯৮ সালে রাসবিহারী কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে জিতে বিধায়ক হিসাবে তৃণমূলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন তিনি।