বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সংসদের মধ্যেই কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রীর হাত থেকে কাগজ কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেছিলেন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। এবার সেই কাজেরই শাস্তি পেলেন তিনি।
বাদল অধিবেশনের বাকি দিনগুলির জন্য রাজ্যসভা থেকে তাঁকে সাসপেন্ড করা হল। শুক্রবার রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু এই শাস্তির কথা ঘোষণা করেন। শান্তনু সেনের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ এনেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। জানা গিয়েছে, সরকারের পক্ষ থেকে সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরন এই প্রস্তাব আনেন।
শুক্রবার সকালে রাজ্যসভার নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল সাক্ষাৎ করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডুর সঙ্গে। ওই বৈঠকে রাজ্যসভার সরকারপক্ষের সহকারী দলনেতা মুখতার আব্বাস নকভি এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ভি মুরলীধরনও হাজির ছিলেন। এরপর অধিবেশন শুরু হলে, শান্তনুর শাস্তির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন ভেঙ্কাইয়া। তিনি বলেন যে, ‘অগণতান্ত্রিক এবং অসংসদীয় আচরণের জন্য অভিযুক্ত সাংসদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
https://twitter.com/ANI/status/1418448146594615299 https://twitter.com/ANI/status/1418451623219589121এই শাস্তি ঘোষণার পরই তীব্র প্রতিবাদ জানান রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদরা। তাঁদের পক্ষ থেকে পাল্টা অভিযোগ করা হয় যে, বৃহস্পতিবার সংসদের অধিবেশন চলাকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি শান্তনু সেনকে গালিগালাজ করেন এবং তাঁকে আক্রমণ করারও চেষ্টা করেছিলেন৷ শান্তনু সেনের বিরুদ্ধে এই শাস্তি ঘোষণার পরই তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার কাগজ ছেঁড়ার ঘটনার পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী নিজের আসন ছেড়ে শান্তনুর দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন। অসংসদীয় বাক্যও প্রয়োগ করেছিলেন। এরপরই তাঁর প্রশ্ন তৃণমূল সাংসদ শাস্তি পেলে, অন্য অভিযুক্ত হরদীপ সিংহ পুরী কেন ছাড় পেলেন? এরপর তৃণমূল-সহ বিরোধীদের হই-হট্টগোলের জেরে শুক্রবারও মুলতবি হয়ে যায় রাজ্য়সভার অধিবেশন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণোর হাত থেকে বক্তৃতার কাগজ ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে, ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংহের আসনের দিকে ছুড়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন।